শাপলা চত্বরে এক বিষণ্ন বিকেল : হয়তো এটিই আমার শেষ মুনাজাত

এনাম হাসান জুনাইদ ।।

২০১৩ সনের ৫ মে শাপলা চত্বরে মাগরিবের আগের যিকির আর মুনাজাতের কথা আমি জীবনেও ভুলতে পারব না। আল্লাহ তাআলার কাছে এই যিকির আর মুনাজাতের মাধ্যমে আমি অনেক আশাবাদী। মুনাজাতে আর যিকিরে  এত মনোযোগ আর কখনো অনুভব হয়নি। সেদিন মনে হয়েছিলে সেটিই আমার জীবনের শেষ মুনাজাত।

একেবারে শাপলার কাছাকাছি জায়গাটাতে বসে ছিলাম। আমার চতুর্দিকে হাজার হাজার মানুষ। বায়তুল মোকাররমের দিকের রাস্তাটায় ২০ গজ দূরে ধোয়া উড়ছে। একের পর এর গ্রেনেড আর গুলির শব্দ হচ্ছে। আর ওদিকে তাকিয়ে আমরা হাজার হাজার জিকির আর দোয়া কান্নকাটি করছি। মাগরিবের আগে স্টেজ থেকে ছয় তসবিহের জিকির করা হল। তারপর শুরু হল দোয়া। দোয়ায় মানুষের সে কী কান্না!

আরো পড়ুন: ঈমানী জাগরণ: প্রেরণা এবং কষ্টের অধ্যায়

আসরের পর দেখতে পেলাম বায়তুল মোকাররমের দিক থেকে ধোয়া গুলো আস্তে আস্তে আরও কাছে আসছে।

জিহাদের ময়দানের নামাজ রোযা দোয়া মুনাজাতের ফযীলতই ভিন্ন। সেদিন কিছুটা বুঝতে পারলাম, কেন জিহাদের এত ফযীলত এবং কেন জিহাদের ময়দানে দোয়া মুনাজাতের ফযীলত এত বেশী। কারণ মৃত্যু ইস্তিহযার সেখানে এত বেশী থাকে যা অন্য কোথাও কল্পনাও করা যায় না। সে কারণে সেখানে নামাজ দোয়া মুনাজাতের অবস্থাই থাকে ভিন্ন।

আরো পড়ুন: বালাকোট থেকে মতিঝিল: মিল-অমিল

মনে হচ্ছিল, এই তো কিছুক্ষণ পর হয় তো আমি শামিল হবো জান্নাতের বাগানে সবুজ পাখিদের কাতারে । এটাই হয়তো আমার শেষ মুনাজাত।

আরো পড়ুন: শাপলায় ঘটে যাওয়া এক আবেগময় অধ্যায়

আরো পড়ুন: শাপলা চত্বরের ঘটনায় তৌহিদী জনতার পরাজয়ের কিছু নেই: আল্লামা কাসেমী

পূর্ববর্তি সংবাদলকডাউন সম্ভব না, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উপর ভরসা করেই থাকতে হবে- বললেন ভাইরোলজিস্ট
পরবর্তি সংবাদকরোনা ভাইরাস : নিয়োগ পেলেন আরও দুই হাজার চিকিৎসক