নাসিমের অবস্থা আগের মতোই সঙ্কটাপন্ন

ইসলাম টাইমস ডেস্ক: ব্রেন স্ট্রোকের পর টানা আট দিন পেরিয়ে গেলেও চেতনা ফেরেনি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের। তার শারীরিক অবস্থা আগের মতই সঙ্কটাপন্ন। নেই নড়াচড়া, এমনকি চোখ মেলে তাকাচ্ছেনও না। চেতনাহীন অবস্থায় তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) ভেন্টিলেশন সাপোর্টেই রেখা হয়েছে।

সঙ্কটাপন্ন অবস্থার কারণে মোহাম্মদ নাসিমকে আপাতত দেশের বাইরে স্থানান্তরের ঝুঁকি নিতে চাইছেন না তার পরিবারের সদস্যরা। মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনেই এগোতে চাইছেন তারা।

মোহাম্মদ নাসিমের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে তার ছেলে তানভীর শাকিল জয় শুক্রবার বিকালে বলেন, বাবার শারীরিক অবস্থা আগের মতোই আছে। ভালো-খারাপ কিছুই নেই।

উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই অবস্থায় দেশের বাইরে নেয়া সম্ভব হবে না। তাই শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করব। ডাক্তাররা যখন বলবেন দেশের বাইরে নেয়ার মতো অবস্থা হয়েছে, তখনই নেব। তার আগে নয়।

এদিকে শুক্রবার রাতে মোহাম্মদ নাসিমের অবস্থা নিয়ে বৈঠক করেছেন মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা। অনলাইন ওই মিটিংয়ে মোহাম্মদ নাসিমের ছেলে তানভীর শাকিল জয়ও বৈঠকে যুক্ত ছিলেন। এ সময় কয়েকজন ডাক্তার জুমের (ভিডিও কনফারেন্স) মাধ্যমে মোহাম্মদ নাসিমের শারীরিক অবস্থা মেডিকেল বোর্ডের সদস্যদের দেখান।

সূত্রে জানা গেছে, মোহাম্মদ নাসিমের শারীরিক জটিলতা আরও বেড়েছে। আগের সমস্যার সঙ্গে তার হৃদযন্ত্রে জটিলতাও ধরা পড়েছে।

এ বিষয়ে মোহাম্মদ নাসিমের চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া রাতে গণমাধ্যমকে বলেন, মোহাম্মদ নাসিমের শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন।

গত ১ জুন জ্বর-কাশিসহ করোনাভাইরাসের লক্ষণ নিয়ে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি হন মোহাম্মদ নাসিম। রাতে করোনা পরীক্ষার ফল পজিটিভ আসে। শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টায় মোহাম্মদ নাসিমের ব্রেন স্ট্রোক হয়। হাসপাতালের নিউরোসার্জন অধ্যাপক রাজিউল হকের নেতৃত্বে কয়েক ঘণ্টায় তার অস্ত্রোপচার সফল হয়। সফল অস্ত্রোপচার হলেও এখনো তার মাথার ভেতরে বেশ কিছু রক্ত জমাট বেধে আছে। স্ট্রোকের পর থেকেই তিনি অচেতন অবস্থায় ভেন্টিলেশন সাপোর্টেই আছেন।

এরই মধ্যে পরপর দুইবার করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ রেজাল্ট আসলে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নেয়ার বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়য়ের পক্ষ থেকে সিঙ্গাপুরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তবে এখনও পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার তার ব্লাড প্রেশার উঠানামা করেছে। রক্তের একটা পরীক্ষায় দেখা যায়- রক্ত জমাট বাঁধতে অসুবিধা হচ্ছে। এখনও তিনি নিজে থেকে শ্বাস নিতে পারছেন না। আছেন অচেতন অবস্থাতেই।

পূর্ববর্তি সংবাদকরোনায় দেশে একদিনে ৩ চিকিৎসকের মৃত্যু
পরবর্তি সংবাদলকডাউন হবে রাজধানীর ৪৯ এলাকা