৫৯ শতাংশ হাসপাতালেই দেয়া হয়েছে নিম্নমানের সুরক্ষা সমাগ্রী: টিআইবি

ইসলাম টাইমস ডেস্ক: করোনা দুর্যোগে ৫৯ শতাংশ হাসপাতালেই সরবরাহ করা হয়েছে সবচেয়ে নিম্নমানের সুরক্ষা সমাগ্রী। আর এসবের ১০ গুণ বেশি দাম দেখিয়ে লাভবান হয়েছে একটি চক্র।

আজ সোমবার দুপুরে ওয়েবিনারে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরে দুর্নীতি বিরোধী সংস্থা টিআইবি। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ডক্টর ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দুর্যোগকে পুঁজি করে ফুলে ফেঁপে উঠছে কিছু অসৎ কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধি।

করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষায় সুশাসনের চ্যালেঞ্জ। এই শিরোনামে গবেষণা চালায়, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ, টিআইবি। যাতে দেশের ৪৭টি জেলা পর্যায়ের হাসপাতালের আর ৪৩টি জেলার নাগরিকদের কাছ থেকে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করা হয়।

গবেষণার ফলাফলে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতার ঘাটতি ছাড়াও অনিয়ম-দুর্নীতির নানা চিত্র উঠে আসে। এতে বলা হয়:

-৫৯ শতাংশ হাসপাতালে সবচেয়ে নিম্নমানের সুরক্ষা সমাগ্রী সরবরাহ করা হয়েছে।
– ২৩ শতাংশ হাসপাতালে দায়িত্বে অবহেলা করেছে স্বাস্থ্যকর্মীরা।
– নিম্নমানের সুরক্ষা সামগ্রী ৫ থেকে ১০ গুণ বেশি দাম দেখিয়ে লাভবান হয়েছে একটি চক্র।
– ৫.১ শতাংশ সুরক্ষা সামগ্রী বণ্টন করা হয়েছে পছন্দের সহকর্মী ও কর্মকর্তাদের।
– ত্রাণ বিতরণে ৮২ ভাগ এলাকায় তালিকা তৈরিতে বিবেচনায় ছিলো রাজনীতি।

টিআইবি বলছে, এই দুর্নীতি ও অনিয়মে জড়িত স্বাস্থমন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের একাংশ।

গবেষণায় আরও বলা হয়, শুরু থেকে একটি প্রতিষ্ঠান কোভিড পরীক্ষা কুক্ষিগত করে রাখায় দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ। বর্তমানেও মাত্র ৪১.৩ শতাংশ হাসপাতাল নিজ জেলা থেকে পরীক্ষা করাতে পারে।

গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত হাসপাতালের ৭৪.৫ শতাংশেই ঘাটতি আছে দক্ষ জনবলের। এসব হাসপাতালে শয্যা সংখ্যার অনুপাতে সাড়ে তিন হাজার আইসিইউ ও ভেন্টিলেটর থাকার কথা থাকলেও, আছে মাত্র ৪৩২টি।

করোনা ব্যবস্থাপনায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর শক্ত অবস্থানকে ইতিবাচক উল্লেখ করে ১৫ দফা সুপারিশ তুলে ধরে টিআবি।

পূর্ববর্তি সংবাদ‘এবারের বাজেটে অর্থনৈতিক উন্নয়ন নয় বরং মানুষকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে’
পরবর্তি সংবাদটিআইবির কাজ কেবল সরকারের দোষ খুঁজে বেড়ানো: তথ্যমন্ত্রী