মিয়ানমারে পাথরের খনিতে দ্বিতীয় দিনের উদ্ধার অভিযানে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬১

ইসলাম টাইমস ডেস্ক: মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলের কাচিন রাজ্যে পান্না বা জেড পাথরের খনিতে ভূমিধসের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬১ জন হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার তাৎক্ষণিকভাবে ১৩১ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। শুক্রবার দ্বিতীয় দিনের মত উদ্ধার অভিযান চলছে এবং মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কাচিন রাজ্যের জেড পাথরসমৃদ্ধ হ্পাকান্ত এলাকায় বৃহস্পতিবার ভোরে ওই ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। খবর বিবিসির।

ভারি বর্ষণের মধ্যে শ্রমিকরা পাথর সংগ্রহ করার সময় ২৫০ ফুট উঁচু বিশাল এক কাদার স্তূপ ধসে পড়ে। ফলে খনিতে জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে জল-কাদার বিশাল ঢেউ সৃষ্টি হয় এবং বহু শ্রমিক তার নিচে চাপা পড়েন।

মিয়ানমারের তথ্য দপ্তরের স্থানীয় কর্মকর্তা থার লিন মং শুক্রবার সকালে সাংবাদিকদের জানান, তখন পর্যন্ত ১৬১ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, ৪৩ জনকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। নিহতদের অর্ধেকের লাশই শনাক্ত করা যায়নি। তাদের অনেকেই অন্য এলাকা থেকে আসা শ্রমিক। খনির পাশেই তাঁবুতে তারা থাকতেন।

থার লিন মংয়ের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, পরিবারগুলোকে প্রায় ৮০ হাজার ডলার সহায়তা দেওয়া হবে। স্থানীয় প্রশাসন, মিয়ানমারের জেমস অ্যান্ড জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন এবং একটি মাইনিং কোম্পানির উদ্যোগে এই সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

বিশ্বে সবুজ রংয়ের প্রায়-স্বচ্ছ রত্ন পাথর জেডের সবচেয়ে বড় উৎস মিয়ানমার। দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় কাচিন প্রদেশ আর হপাকান্ত জেডের খনির জন্য বিখ্যাত। কিন্তু সরকারের কার্যকর তদারকি না থাকায় সেখানে প্রায়ই প্রাণঘাতী ভূমিধস ও বিভিন্ন দুর্ঘটনা ঘটে। এর আগে একই ধরনের ঘটনায় ২০১৫ সালে শতাধিক এবং ২০১৯ সালে অর্ধশতাধিক খনি শ্রমিকের মৃত্যু হয় হপাকান্ত এলাকায়।

পূর্ববর্তি সংবাদনামের সঙ্গে মিল থাকায় চার মাস ধরে জেল খাটছেন নিরপরাধ মুদি দোকানি
পরবর্তি সংবাদনেতিবাচক প্রভাব নিয়ে অভিযোগ ওঠায় পাকিস্তানে নিষিদ্ধ হলো পাবজি