ইসলাম টাইমস ডেস্ক: যুক্তরাজ্যের ব্রিস্টলে এক দাস ব্যবসায়ীর ভাস্কর্য উচ্ছেদ করে নদীতে ছুড়ে ফেলেছিল বর্ণবাদ বিরোধী বিক্ষোভকারীরা। সেই জায়গায় এবার বসানো হলো এক বিক্ষোভকারীর ভাস্কর্য।
আলজাজিরা জানায়, জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে দাস ব্যবসায়ী এডওয়ার্ড ক্লসটনের ব্রোঞ্জের বিশাল ভাস্কর্য দড়ি দিয়ে টেনে অপসারণ করা হয়।
ভাস্কর্যটি অপসারণে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন কৃষ্ণাঙ্গ নারী জেন রিড এবং তার সঙ্গীরা। ক্লসটনের সেই ভাস্কর্যের জায়গা বসানো হয়েছে জেন রিডের একটি ভাস্কর্য।
রিডের এই ভাস্কর্যটি তৈরি করেন শ্বেতাঙ্গ শিল্পী মার্ক ক্যুইন। তিনি এর নাম দেন- অ্যা সার্জ অব পাওয়ার বা শক্তির ঢেউ। বুধবার সকালে ব্রিস্টল শহর কর্তৃপক্ষের অগোচরে রিডের ভাস্কর্যটি স্থাপন করা হয়।
কৃষ্ণাঙ্গ নেত্রী রিড নিজেই এই ভাস্কর্য উন্মোচন করেন। এক প্রতিক্রিয়ায় সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, এটি অবিশ্বাস্য।
এদিকে শহর কর্তৃপক্ষ জানান, ক্লসটনের ভাস্কর্য প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত গণতান্ত্রিকভাবেই নেয়া হবে। তবে এর আগেই উঠল রিডের ভাস্কর্যটি। এই নারী কর্মী জানান, সহসা তিনি এই ভাস্কর্য নামিয়ে ফেলা হবে এমনটা দেখছেন না।
১৭শ শতাব্দীর প্রভাবশালী দাস ব্যবসায়ী এডওয়ার্ড ক্লসটন রয়েল আফ্রিকান কোম্পানির সদস্য ছিলেন। কোম্পানিটি আফ্রিকা থেকে অন্তত ৮০ হাজার মানুষকে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে এসে বিক্রি করে বলে ধারণা করা হয়, যাদের মধ্যে ছিল অনেক নারী ও শিশুও।
১৭২১ সালে মারা যান এই দাস ব্যবসায়ী। সেই সময় শ্বেতাঙ্গ সমাজে দাতব্য কর্মকাণ্ডে ভূমিকা রাখায় তার স্মরণে এই মূর্তিটি গড়ে তোলা হয়।
প্রসঙ্গত, মার্কিন শহর মিনেপোলিসে গত ২৫ মে জর্জ ফ্লয়েডকে সিনেমাটিক কায়দায় হাঁটু চেপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটার শ্বেতাঙ্গ এক পুলিশ কর্মকর্তা।
এ ঘটনার প্রতিবাদে বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে গোটা যুক্তরাষ্ট্রে। বিশ্বজুড়ে এই আন্দোলনের ঢেউ তৈরি হয়। এতে অনেক দাস ব্যবসায়ী ও উপনিবেশিক ব্যক্তিত্বের ভাস্কর্য অপসারণ করা হয়।
আরো পড়ুন: আমেরিকার বর্ণবাদ: সভ্যতা এবং অসভ্যতার ইশতেহার
![](https://www.islamtime24.com/wp-content/uploads/2021/03/20210308_200803-scaled.jpg)