বন্যায় তলিয়ে গেছে বিশ্বের যে দেশগুলো

ইসলাম টাইমস ডেস্ক: ভারতের আসাম ও বিহারে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সবধরণের সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার। নেপালে চলমান বন্যার মধ্যেই আরও ভারি বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা করছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। এদিকে চীনে ভয়াবহ বন্যার জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করেছে বিশেষজ্ঞরা। গেল কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ এ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রায় ২ কোটি ৪০ লাখ মানুষ।

বন্যার পানিতে তলিয়ে আছে ভারতের আসাম রাজ্যের হাজারো গ্রাম। ঘরবাড়ি ডুবে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন লাখো মানুষ।

একজন বলেন, ‘আমরা অনেক কষ্টে আছি। পানি ঘরে ঢুকেছে। আমাদের খাবারও নেই।’

সোমবার আসামের বেশ কয়েকটি বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে যান মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল। এসময় ক্ষতিগ্রস্তদের সবধরণের সহায়তা দেয়ার কথা জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘বন্যা মোকাবিলায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি। কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের সাথে আছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় খাবার বিতরণ করছি, যাতে কেউ অনাহারে না থাকে। এছাড়াও অনেককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।’

একই অবস্থা বিহারে। বন্যায় রাজ্যের অন্তত ৮ টি জেলা পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক লাখ মানুষ।

এদিকে, ভারতের পাশের দেশ নেপালে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত আছে। একইসঙ্গে পাবর্ত্য অঞ্চলে ভূমিধসে হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে। সবগুলো নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় সবাইকে সতর্কে থাকতে বলেছে কর্তৃপক্ষ।

চীনের জিয়াংজি, আনহুই প্রদেশের সব নদীর পানি প্রতিদিনই বাড়ছে। নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হলেও বন্যা মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করছে সেনাসদস্যসহ উদ্ধারকারীদল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বন্যার মতো ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে চীন।

এরমধ্যেই চীনের তিব্বত থেকে আসাম ও বাংলাদেশের মধ্যদিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র নদের পানি আরও বাড়ার আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ।

পূর্ববর্তি সংবাদঝালকাঠিতে সড়কে ঝুঁকে পড়া গাছের ধাক্কায় উড়ে গেল বাসের ছাদ, আহত ১৬
পরবর্তি সংবাদমুসলমানদের যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি বাইডেনের