ইসলাম টাইমস ডেস্ক: মিয়ানমারের রাজনৈতিক দলগুলো ৮ নভেম্বরের আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের জন্য কোমর বেঁধে নামছে। প্রায় ছয় যুগের মধ্যে এই প্রথম কোনো বেসামরিক সরকারের অধীনে দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন হতে যাচ্ছে।
ইউনিয়ন ইলেকশন কমিশন ১ জুলাই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে ৯৬টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে ২০ জুলাই থেকে ১ আগস্ট সময়ের মধ্যে প্রার্থী তালিকা চেয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষণার কয়েক দিনের মধ্যেই সারা মিয়ানমারে মুসলিম প্রার্থীরা তাদের সংশ্লিষ্ট আসনে প্রচারণা চালানোর কাজে সহায়তার জন্য ১৬ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেছে। কমিটিতে কয়েকজন আইনজীবীও রয়েছেন।
দলের মুখপাত্র মং মং মিয়ন্ত আনাদোলু এজেন্সিকে বলেন, কমিটি মুসলিম প্রার্থীদেরকে আর্থিকভাবে, আইনগতভাবে ও কারিগরিভাবে সহায়তা করবে।
তিনি বলেন, দেশের জনসংখ্যার মধ্যে মুসলিমরা ৫ ভাগের বেশি হলেও পার্লামেন্টে আমাদের কোনো আইনপ্রণেতা নেই, এটি লজ্জার ব্যাপার।
তিনি আরো বলেন, ২০১৫ সালের নির্বাচনে প্রার্থী ছিল ছয় হাজারের বেশি। এর মধ্যে মুসলিম ছিল মাত্র ২৫ জন। তাদের কেউ জয়ী হয়নি। নির্বাচন কমিশন শতাধিক সম্ভাব্য প্রার্থীকে প্রত্যাখ্যান করেছিল। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নাগরিকত্বের অজুহাত দেখানো হয়েছিল।
নির্বাচনী আইন অনুসারে, প্রার্থীর জন্মের সময় প্রার্থীর মা-বাবা স্বীকৃত নাগরিক ছিল, তা প্রমাণ করতে হবে। মিয়ন্ত বলেন, এ কারণে আমরা প্রার্থী নিবন্ধনের শুরুতেই পুরো প্রক্রিয়ায় তাদের সহায়তা করছি।
মিয়ানমারের দুই বৃহত্তম রাজনৈতিক দল, মুসলিম গণহত্যাকারী অং সান সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি) ও সামরিক-সমর্থিত ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি) গত সাধারণ নির্বাচনে কোনো মুসলিম প্রার্থী দেয়নি।
দলগুলো এবারের নির্বাচনে এখন পর্যন্ত কোনো প্রার্থী তালিকা নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়নি। তবে মিয়ন্ত বলেন, বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ এই দেশে কোনো রাজনৈতিক দলের মুসলিমকে প্রার্থী হিসেবে গ্রহণ করার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।
তিনি বলেন, কোনো দল মুসলিমদের প্রার্থী হিসেবে গ্রহণ করছে, এমন কোনো কথা আমরা শুনিনি।
তিনি বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত মাত্র প্রায় ২০ জন স্বতন্ত্র মুসলিম প্রার্থীর সাথে যোগাযোগ করেছি। তারা ইয়াঙ্গুন, মান্দালয় ও রাখাইন থেকে নির্বাচন করবেন।
![](https://www.islamtime24.com/wp-content/uploads/2021/03/20210308_200803-scaled.jpg)