সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলোতে দেখা যাচ্ছে, ছাত্রদের কারো হাত ভেঙ্গে গেছে। রডের আঘাতে কারো মাথা ফেটে গেছে। আবার কারো গলায় ছুরির আঘাত, যাতে তিন চারটা পর্যন্ত সিলাই লেগেছে।ভিডিওতে দেখা গেছে, মাদরাসার চত্বরে পুলিশ অবস্থান করছেন। মাদরাসার নিরীহ শিক্ষকরা বসে আছেন।
নির্ভরযোগ্যসূত্রে জানা যায়, এ মাদরাসা দখল করে সাদপন্থীরা দীর্ঘদিন থেকে ‘মারকায’ বানানোর ষড়যন্ত্র করে আসছিল। সেই ধারাবাহিকতায় আজ ফজর নামাজের পর মসজিদের গেইটে থাকা সিসি ক্যামেরা ইত্যাদি ভাংচুর করে ভিতরে প্রবেশ করে৷ এবং ছাত্র ও উস্তাদদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে বেশ কয়েকজন ছাত্র উস্তাদ আহত হয়েছেন। মসজিদ দখল করে মারকায চালু করার উদ্দেশে তারা এমন সন্ত্রাসী হামলা করছে বলে জানা যায়।
মাদরাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থী, এবং এলাকাবাসী এই নেক্কারজনক হামলার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে প্রশাসনকে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, দাওয়াত তাবলীগের এই বিচ্যুত গোষ্ঠী এতাআতীরা বিগত ১ ডিসেম্বর ২০১৮ টঙ্গী ময়দানে মাদরাসার ছাত্রশিক্ষকদের উপর নৃশংসভাবে হামলা চায়, যাতে শত শত আলেম ওলামা ও মাদরাসার ছাত্র আহত হন। এরপর থেকেই মাদরাসা ও মাদরাসার ছাত্রদের প্রতি এই গোষ্ঠীর বিদ্বেষ একের পর এক প্রকাশ পেতে থাকে।