সিলেটে ট্রাফিক সার্জেন্টের মোটরবাইকে বোমাসদৃশ বস্তুটি টাইলস কাটার মেশিন!

ইসলাম টাইমস ডেস্ক: সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) এক ট্রাফিক সার্জেন্টের মোটরসাইকেলের পেছনে রাখা বস্তুটি বোমা নয়, একটি গাইন্ডিং মেশিন (টাইলস কাটার মেশিন)। ঘটনার ২০ ঘণ্টা পর এটি জানা গেল।

ঢাকা থেকে বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর বৃহস্পতিবার বিকালে জানা যায় বোমাসদৃশ বস্তুটি টাইলস কাটার মেশিন।

বুধবার সন্ধ্যায় নগরীর চৌহাট্টা এলাকায় ট্রাফিক সার্জেন্টের মোটরসাইকেলের পেছনে বোমাসদৃশ বস্তুটি দেখে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে ঘটনাস্থল ঘিরে রেখে জিন্দাবাজার-চৌহাট্টা সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার বিকাল সোয়া ৪টায় গণমাধ্যমে এ তথ্য জানান বোমা ও বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ লে. কর্নেল রাহাত ও লে. কর্নেল খালেদ।

তারা জানান, এটা একটি গাইন্ডিং মেশিন। হয়তো ভুলবশত, নয়তো যেহেতু এটা পুলিশ সদস্যের গাড়ি তাই আতঙ্ক ছড়াতেই বোমাসদৃশ বস্তুটি রেখে দিয়েছে। তবে এটাতে কোনো ধরনের বিস্ফোরক দ্রব্য ছিল না।

এর আগে বেলা ২টায় ঘটনাস্থলে পৌঁছে সিলেট ক্যান্টনম্যান্টের ১৭ পদাতিক ডিভিশন সেনাবাহিনীর একটি বোমা নিষ্ক্রিয়করণের স্পেশাল টিম। সেনাবাহিনীর ওই টিম এসে বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধারে কাজ শুরু করেন।

বুধবার রাতে ঘটনাস্থল থেকে এসএমপির উপকমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ যুগান্তরকে জানান, ডিউটি শেষে ফেরার পথে রাস্তার পাশে গাড়ি রেখে একটি চশমার দোকানে প্রবেশ করেন ট্রাফিক সার্জেন্ট। দোকান থেকে বের হয়ে গাড়ি চালু করে স্ট্যান্ড নামানোর সময় তার পায়ে বাধে ওই বোমাসদৃশ বস্তুটি। পরে তিনি বিষয়টি আমাদের জানান। আমরা এক্সপার্ট টিমকে খবর দিয়েছিলাম।

আরো পড়ুন: বোমা সন্দেহে সিলেটে মোটরসাইকেল ঘিরে রেখেছে পুলিশ

পূর্ববর্তি সংবাদনেত্রকোনায় ট্রলার ডুবে মাদরাসা ছাত্র-শিক্ষক নিহত: চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
পরবর্তি সংবাদআয়া সোফিয়ার সঙ্গে রাম মন্দিরের মিল-অমিল: হিন্দুত্ববাদীদের দাবি কতটা সঠিক?