বিদেশে আটকে পড়া ভারতীয়দের নিয়ে কেরালায় এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান বিধ্বস্ত

ইসলাম টাইমস ডেস্ক: ভারতের কেরালার কোঝিকোড বিমানবন্দরে অবতরণ করার সময়ে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়েছে। সংবাদসংস্থা এ এন আই স্থানীয় কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে জানিয়েছে বিমানটি ভেঙে গেছে, তবে আগুন লাগে নি সেটিতে।

জানা গেছে, এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি দুবাই থেকে বিদেশে আটকিয়ে পড়া ভারতীয় নাগরিকদের ফিরিয়ে নিয়ে আসছিল।

ভারতের অসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ডি জি সি এ জানিয়েছে যে প্রবল বৃষ্টির মধ্যেই বিমানটি অবতরণ করছিল। দৃশ্যমানতা ছিল ২০০০ মিটার।

বিমানটি রানওয়ে ওয়ান জিরো ছোঁয়ার পরে না থেমেই রানওয়ের শেষ মাথায় চলে যায় আর তার পরে সেটি ছাড়িয়ে সামনের উপত্যকায় গিয়ে পড়ে। তখনই বিমানটি দুটো টুকরো হয়ে যায়।

কেরালায় ব্যাপক বৃষ্টি হচ্ছে — বন্যা চলছে সেখানে। আজই ইদুক্কি জেলায় ভূমিধসে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে — তারপর রাতে বিমান দুর্ঘটনা।

এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস ফ্লাইট IX 1344 বিমানটিতে ক্র্যু ও যাত্রী মিলিয়ে ১৯১ জন ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। এদের মধ্যে ১০ জন শিশুসহ ১৭৪জন যাত্রী, দুজন পাইলট এবং ৫ জন কেবিন ক্রু।

অন্তত ৪০ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

পুলিশ, দমকল বাহিনী সেখানে রয়েছে, তবে জাতীয় বিপর্যয় থেকে সুরক্ষায় বাহিনীকেও বিমানবন্দরে পৌঁছনর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও কোনও মৃত্যুর খবর জানানো হয় নি, তবে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের উদ্ধৃত করে ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে পাইলট এবং তার সহকারী – এই দুজনের মৃত্যু হয়েছে।

ভারতের একজন বিমান নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ক্যাপ্টেন মোহন রঙ্গনাথন এন ডি টি ভি চ্যানেলকে একটু আগেই বলছিলেন যে তিনি নয় বছর আগে কোঝিকোড বিমানবন্দরের ওই রানওয়েটি পরিদর্শন করে একটি প্রতিবেদন দিয়েছিলেন, যেখানে এই রানওয়ে ওয়ান জিরোর নিরাপত্তায় যে বড়সড় ঝুঁকি আছে, সেটা উল্লেখ করেছিলেন।

তিনি বলছেন ওই রানওয়েটি ঢালু এবং তারপরেই প্রায় দুশো মিটার গভীর উপত্যকা.. কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে সেখানে পৌছনও কষ্টকর হবে বলেও জানান ক্যাপ্টেন রঙ্গনাথন।

পূর্ববর্তি সংবাদপ্রত্যক্ষ বর্ণনা: কিভাবে ঘটল নেত্রকোনা-ট্রলারডুবির বিয়োগান্তক ঘটনা
পরবর্তি সংবাদসিনহা হত্যা মামলা: ওসি প্রদীপসহ সাত পুলিশ সদস্য সাময়িক বরখাস্ত