মিসরে ইখওয়ানুল মুসলিমীনের নেতাসহ ১৫ রাজনৈতিক বন্দির ফাঁসি

ইসলাম টাইমস ডেস্ক: মিসরে শনিবার থেকে ১৫ জন রাজনৈতিক বন্দীর ফাঁসি কার্যকর করেছে দেশটির ক্ষমতাসীন সরকার।

একটি অধিকার সংগঠন ও বন্দীদের পরিবার মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আইকে বিষয়টি নিশ্চিত করে। দেশটিতে মৃত্যুদণ্ড সংক্রান্ত বিষয়াদি পর্যবেক্ষণকারী সংগঠন উই রেকর্ড সূত্রে জানা যায়, ফাঁসি হওয়া এসব ব্যক্তি ২০১৪ সালে কারাগারে বন্দী ছিলেন।

তিনটি মামলায় এসব ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হয়। মামলাগুলোকে ‘রাজনৈতিক’ বলে বর্ণনা করেছে উই রেকর্ড।

সংগঠনটির একজন মুখপাত্র জানান, এই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর ‘অবৈধ’। আটককৃতদের বেশির ভাগই দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগে জোরপূর্বক অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন।

ফাঁসি হওয়া বন্দীদের মধ্যে ইয়াসির আবাসিরি এবং ইয়াসির শাকর দুজনই দেশটির নিষিদ্ধঘোষিত ইসলামি সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুড বা ইখওয়ানুল মুসলিমীনের সদস্য।

২০১৩ সালে ব্রাদারহুড সমর্থিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে সামরিক ক্যুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করার অভিযোগে আলেকজান্দ্রিয়া শহর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তাদের।

ওই ক্যুর মাধ্যমে মিসরের ক্ষমতায় আসেন সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাতাহ আল-সিসি। এরপর বিরুদ্ধমত দমনসহ ব্রাদারহুডের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার, নির্যাতন ও ফাঁসি দেয়ার অভিযোগ উঠে প্রেসিডেন্ট সিসির বিরুদ্ধে।

বিরোধী রাজনৈতিক কর্মীদের ফাঁসি দেয়ার সর্বশেষ এ ঘটনার মধ্যে দিয়ে সিসির আমলে এখন পর্যন্ত ৭৯ জনকে এ শাস্তি দেয়া হলো। চলতি বছরেই ফাঁসি দেয়া হয়েছে ২০ জনকে।

লন্ডন ভিত্তিক মানবাধিকার গবেষক আহমেদ আল-আতার বলেন, ‘ফাঁসি কার্যকর হওয়া ব্যক্তিদের অধিকাংশই দুর্ধর্ষ স্করপিয়ন প্রিজনে বন্দী ছিলেন। কারাগারটিতে শত শত রাজনৈতিক বন্দীকে আটকে রাখা হয়েছে।’

গত মাসে কারাগারটিতে বিক্ষোভে ৩ পুলিশ সদস্য এবং চারজন বন্দী নিহত হয়েছিলেন।

পূর্ববর্তি সংবাদ‘কুরআনের আইনে দ্রুত বিচার না হলে ধর্ষণ বন্ধ করা সম্ভব হবে না’
পরবর্তি সংবাদওমরা নিয়ে প্রতারণা: ধর্ম মন্ত্রণালয়ের জরুরি সতর্ক বিজ্ঞপ্তি