ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগে ‘মি. বেকারের’ ব্যাংক হিসাব জব্দ

ইসলাম টাইমস ডেস্ক:  ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগে মিষ্টান্ন পণ্যের বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান ‘মি. বেকারের’ ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে।

একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসের সূত্র ধরে তিন দিন আগে ভ্যাট ফাঁকির অভিযান চালান ভ্যাট গোয়েন্দারা। অভিযানে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় বৃহস্পতিবার প্রতিষ্ঠানটির ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে।

এখন প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ভ্যাট ফাঁকির বিস্তারিত তদন্ত করা হচ্ছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর এ অভিযান চালিয়েছে। তদন্তও করছে সংস্থাটি। কোন সূত্র ধরে ভ্যাট গোয়েন্দারা অভিযান চালিয়েছে, অভিযানে কী পেয়েছে, এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

গত ১৮ই অক্টোবর সাবেক সচিব আসিফ জামান নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ৪ নম্বর রোডে অবস্থিত ‘মি. বেকার’-এর বিক্রয়কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ভ্যাট চালান না দেয়ার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করেন। তিনি ওই স্ট্যাটাসে এনবিআরের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের কাছে প্রতিকার চেয়ে উল্লেখ করেন, ভোক্তারা ভ্যাট দিলেও তা সরকার পাচ্ছে না। ওই বিক্রয়কেন্দ্রটিতে ভ্যাট কাটার একটি কাঁচা চালান ক্রেতাকে বুঝিয়ে দেয়া হয়।

এ অভিযোগের ভিত্তিতে এনবিআরের চেয়ারম্যান তদন্ত করার জন্য ভ্যাট গোয়েন্দাকে নির্দেশ দেন।

এনবিআরের চেয়ারম্যানের নির্দেশে ২০শে অক্টোবর মি. বেকারের টঙ্গী ও গাজীপুরের তারগাছ প্রধান কার্যালয়ে অভিযান চালান ভ্যাট গোয়েন্দারা। প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন কাগজপত্র যাচাই–বাছাই করে ব্যাপক পরিমাণ ভ্যাট ফাঁকির প্রাথমিক তথ্য পান তারা। এখন অধিকতর তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানা গেছে।

ভ্যাট নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খান বলেন, প্রতিষ্ঠানটিতে অভিযান করে ভ্যাট ফাঁকির সপক্ষে নানা ধরনের অসংগতি পাওয়া গেছে। সেখানে ভ্যাট ফাঁকির অরাজকতা চলছে। ইতিমধ্যে ব্যাংক হিসাব জব্দের পাশাপাশি যাবতীয় হিসাব তলব করা হয়েছে। এখন তদন্ত করে দেখা হচ্ছে, কত টাকার ভ্যাট ফাঁকি দেয়া হয়েছে।

২০শে অক্টোবর অভিযানকালে ভ্যাট গোয়েন্দারা মি. বেকারের টঙ্গী ও প্রধান কার্যালয় তথা কারখানায় ক্রয় হিসাব পুস্তক (মূসক-৬ দশমিক ১) ও বিক্রয় হিসাব পুস্তক (মূসক-৬ দশমিক ২) পাননি। অথচ ভ্যাট আইন অনুযায়ী, উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে এই দুটি হিসাব সংরক্ষণের বাধ্যবাধকতা আছে। ২১শে অক্টোবর রাজধানীর বেইলি রোডের ওই প্রতিষ্ঠানের বিক্রয়কেন্দ্রে গিয়ে ভ্যাট গোয়েন্দারা দেখেছেন মূসক চালান ছাড়াই পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে।

পূর্ববর্তি সংবাদভারতের বাতাসকে নোংরা বলে সমালোচনা করলেন ট্রাম্প
পরবর্তি সংবাদরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতি মুহাববত