হাজী সেলিমের অবৈধ সম্পদের খোঁজে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন

ইসলাম টাইমস ডেস্ক: নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম গ্রেপ্তার হওয়ার পর ওই পরিবারের অবৈধ সম্পদের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বুধবার দুপুরে দুদক প্রধান কার্যালয়ে কমিশনার (অনুসন্ধান) মো. মোজাম্মেল হক খান সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘সংসদ সদস্য হাজী সেলিম ও তার ছেলে ইরফান সেলিমের অবৈধ সম্পদের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে। এসব যদি দুদক আইনে তফসিলভুক্ত হয়, তাহলে তা নিয়ে অনুসন্ধান করা হবে।’

কমিশনার মোজাম্মেল বলেন, ‘অবৈধ সম্পদের বিষয়গুলো যদি দুদকের শিডিউলের সাথে সম্পর্কিত হয় এবং শিডিউলভুক্ত অপরাধের শামিল হয় তাহলে আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখব এবং দুদকের আইনে পরে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের জায়গা বা সম্পত্তি হোক, যদি দখল হয় তাহলে দুদক আইনের আওতাভুক্ত হলে সেই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে বুধবার অস্ত্র ও মাদক আইনে দুটি মামলা করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। ইরফানের দেহরক্ষী মোহাম্মদ জাহিদের বিরুদ্ধেও পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। এর আগে সোমবার পুরান ঢাকার সোয়ারিঘাটের দেবী দাস লেনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ইরফান ও জাহিদকে গ্রেপ্তার করা হয়।

নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের পর সোমবার হাজী সেলিমের বাড়ি তল্লাশি করে মদ ও ওয়াকিটকি পাওয়ায় র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত ইরফান ও জাহিদকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেন।

গত রোববার নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট মো. ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধরের পর তিনি ধানমণ্ডি থানায় ইরফান ও তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এই মামলায় বুধবার এক শুনানি শেষে ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী মোহাম্মদ জাহিদকে তিন দিনের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন ঢাকার হাকিম আদালত।

এ ছাড়া ইরফান ও জাহিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক মামলায় সাত দিন করে মোট ১৪ দিনের রিমান্ডে চেয়ে আবেদন করা হবে বলে চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুত হাওলাদার জানিয়েছেন।

পূর্ববর্তি সংবাদঅনলাইনে জমির খাজনা দেওয়ার সুবিধা চালু
পরবর্তি সংবাদঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পেছন থেকে নবজাতকের লাশ উদ্ধার