জাতিসংঘের উচিত ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের সাহায্য করা : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ইসলাম টাইমস ডেস্ক: জাতিসংঘ উদ্বাস্তুদের বিষয়ে যে ম্যান্ডেটের ভিত্তিতে বাংলাদেশে কাজ করছে, তা মেনে তাদের ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের সাহায্য করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।

সোমবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘(উদ্বাস্তু বিষয়ে) তাদের নিজেদের ম্যান্ডেট (জাতিসংঘ) অনুসরণ করা উচিত। তারা (উদ্বাস্তু) কোথায় থাকছেন সেটা কোনো বিষয় নয়।’

ড. মোমেন বলেন, ‘রোহিঙ্গারা কুতুপালং, ভাসানচর নাকি অন্য কোথাও আছেন তা জাতিসংঘের ভাবা উচিত নয়। উদ্বাস্তুদের সাহায্য করাই হলো জাতিসংঘের ম্যান্ডেট। তাদের এটা করা উচিত। সরকার বর্তমানে ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের খাবার সরবরাহ করছে এবং তারা আশা করেন যে, রোহিঙ্গাদের সাহায্যে জাতিসংঘ এগিয়ে আসবে।‘

ড. মোমেন এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর প্রত্যাবাসন প্রচেষ্টায় কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না। আমরা স্বল্প মেয়াদের জন্য এ ব্যবস্থাটি করেছি। মিয়ানমার যখন রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে নেওয়া শুরু করবে তখন হয়ত এসব মানুষই প্রথম ধাপে ফিরে যাবেন।’

সমুদ্র থেকে ৩০০ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা প্রসঙ্গে ড. মোমেন বলেন, ‘যখন কোনো দেশ এগিয়ে আসেনি তখন বাংলাদেশ তাদের জীবন বাঁচিয়েছে। তারা মারা যাচ্ছিল। কেউ তাদের গ্রহণ করেনি।’

বাংলাদেশের কক্সবাজারে বর্তমানে ১১ লাখের অধিক রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়ে আছেন। তাদের অধিকাংশই রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমারের সামরিক অভিযান থেকে পালিয়ে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর বাংলাদেশে প্রবেশ করেন।

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরগুলোর ঘনবসতিপূর্ণ পরিবেশ এবং সেখানে ভূমিধসসহ অন্যান্য দুর্ঘটনার আশঙ্কায় সরকার বিভিন্ন ধাপে এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ জন্য চরটি উন্নয়ন করতে সরকার ৩৫ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি ব্যয় করেছে। ১৩ হাজার একরের এ চরে সারা বছর ধরে বিশুদ্ধ পানি পাওয়াসহ সব আধুনিক অবকাঠামো রয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

ভাসানচরে যেতে আগ্রহী রোহিঙ্গাদের মধ্যে প্রথম ধাপে শুক্রবার এক হাজার ৬০০ জনের বেশি মানুষকে চরটিতে স্থানান্তর করা হয়।

ইজে

পূর্ববর্তি সংবাদটাঙ্গাইলে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ: নিহত ৫
পরবর্তি সংবাদনারীর প্রকাশ্যে ধূমপানে বাধা দেয়া কি অপরাধ?