তওবার নামাজ: বান্দার পাপমুক্তির চাবিস্বরূপ

ইসলাম টাইমস ডেস্ক: ইসলামী শরিয়তের পরিভাষায় নিজের কৃত অপরাধের প্রতি অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করা এবং ভবিষ্যতে অপরাধ বা গুনাহ না করার দৃঢ় সঙ্কল্প করাকে তওবা বলে। আর গুনাহর কাজ সংঘটিত হওয়ার পরপরই মাগফিরাতের উদ্দেশ্যে ওজু করে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়াকে সালাতুত তওবা বা তওবার নামাজ বলে।

তওবার নামাজের জন্য গোসল করা মুস্তাহাব। তওবার নামাজ অন্যান্য নফল নামাজের মতো করে আদায় করবে। এর জন্য পৃথক কোনো নিয়ম নেই। আর নিষিদ্ধ ও মাকরূহ ওয়াক্ত ব্যতীত যেকোনো সময় তওবার নামাজ পড়া যাবে।

কোরআনে তওবার গুরুত্ব:

আল্লাহ তায়ালা মহান করুণাময় ও দয়ালু। তিনি বান্দাকে জাহান্নামের জ্বলন্ত আগুন থেকে বাঁচানোর জন্য তওবার বিধান রেখেছেন। যাতে কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে সঙ্গে সঙ্গে তওবা করে পাপমুক্ত হতে পারে এবং দোজখের আজাব থেকে পরিত্রাণ লাভ করতে পারে।

এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘হে মোমিনগণ! তোমরা আল্লাহর কাছে তওবা কর, আন্তরিক তওবা। আশা করা যায়, তোমাদের পালনকর্তা তোমাদের মন্দ কর্মসমূহ মোচন করে দেবেন এবং তোমাদেরকে প্রবেশ করাবেন জান্নাতে, যার তলদেশে ঝরনাসমূহ প্রবাহিত হয়। সেদিন আল্লাহ তায়ালা নবী ও তাঁর মোমিন বান্দাদেরকে অপদস্থ করবেন না। তাদের নূর তাদের সম্মুখে ও ডান পার্শ্বে ধাবিত হবে, তারা বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের নূরকে পূর্ণ করে দিন এবং আমাদেরকে ক্ষমা করুন। নিশ্চয়ই আপনি সব কিছুর ওপর সর্বশক্তিমান।’ (সুরা তাহরিম : ৮)।

আল্লাহ আরও বলেন, ‘হে মোমিনগণ! তোমরা আল্লাহর নিকট তওবা কর, যাতে তোমরা সফলতা অর্জন করতে পার।’ (সুরা নূর : ৩১)

তওবার নামাজের ফজিলত:

অপরাধ থেকে তওবা বা তওবার নামাজের মাধ্যমে নিজের কৃত মন্দ কাজের জন্য আল্লাহর দরবারে ক্ষমা চাইতে হবে। এ নামাজ হলো বান্দার পাপমুক্তির চাবিস্বরূপ।

এ মর্মে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি যখন কোনো গুনাহ করে ফেলে, অতপর সে দাঁড়িয়ে ওজু করে দুই রাকাত নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে তখন আল্লাহ তায়ালা অবশ্য তাকে ক্ষমা করে দেন।

তারপর নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই আয়াতটি পাঠ করলেন, মুত্তাকি তারাই, যারা কখনও কোনো অশ্লীল কাজ করে ফেললে অথবা কোনো মন্দ কাজে জড়িয়ে নিজের ওপর জুলুম করে বসলে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং নিজের পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে।’ (তিরমিজি : ৪০৮)

-আরএম

পূর্ববর্তি সংবাদবাংলাদেশে বসবাসরত দ্বৈত নাগরিক ও পাসপোর্টধারীদের তালিকা চেয়েছে হাইকোর্ট
পরবর্তি সংবাদএকদিনে সুস্থ আরও ২১৬৭ রোগী, মৃত্যু ৩২, শনাক্ত ১৪৭০