পুলিশ সদস্যকে মারধর ও অপহরণ চেষ্টার অভিযোগ, যশোরে আ’লীগ নেতাসহ আটক ৪

ইসলাম টাইমস ডেস্ক: ইমরান নামে এক পুলিশ সদস্যকে মারধর ও অপহরণ চেষ্টার অভিযোগে যশোর শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান বিপুসহ ৪ জনকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

সোমবার (১১ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে শহরের পুরাতন কসবা শহীদ মিনার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার প্রতিবাদে কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) সকালে কেশবপুর-চুকনগর সড়ক অবরোধ করে।

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, রাত ৮টার দিকে পুলিশ লাইনসে কর্মরত কনস্টেবল ইমরান সাদা পোশাকে পুরাতন কসবা এলাকায় শহীদ মিনারে বসে এক নারীর সঙ্গে গল্প করছিলেন। এ সময় ক্ষমতাসীন দলের কতিপয় নেতাকর্মী সেখানে গিয়ে নারীর সঙ্গে গল্প করতে দেখে তার ওপর চড়াও হন। নিজের পরিচয় দিয়ে ও পরিচয়পত্র দেখিয়ে পুলিশ কনস্টেবল ইমরান এর প্রতিবাদ করেন। কিন্তু তারা ক্ষান্ত হয় না। তাকে শহীদ মিনার থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় পাশে আবু নাসের ক্লাবে।

জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার একজন সদস্য জানান, ঘটনার সময় সেখানে আসেন শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান বিপু। তিনি এ সময় পুলিশ কনস্টেবলকে কোনও কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে সেখান থেকে রিকশার পাদানিতে বসিয়ে নিয়ে যান পুরাতন কসবা কাঁঠালতলায়। সেখানে নিয়ে ইমরানকে বেদম প্রহার করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তা শহীদ মিনার ও কাঁঠালতলায় ছুটে যান। পরে যারা ইমরানকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল তারাই আবার তাকে শহীদ মিনার এলাকায় রেখে যান। পুলিশ এ ঘটনায় মাহমুদ হাসান বিপুসহ ৪ জনকে হেফাজতে নেয়।

কোতোয়ালি থানা পুলিশের ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শেখ তাসমীম আলম জানান, সেখানে (শহীদ মিনারে) দু’পক্ষের মধ্যে একটু ধস্তাধস্তি হয়েছে বলে জানতে পেরেছেন। খবর পেয়ে ওসি মনিরুজ্জামানসহ তারা ঘটনাস্থলে যান। কিন্তু শহীদ মিনারে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় মাহমুদ হাসান বিপুসহ ৪ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

এদিকে, মাহমুদ হাসান বিপু পুলিশি হেফাজতে থাকায় কেশবপুর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আজ সকাল ৮টা থেকে কেশবপুর-চুকনগর মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। এ রিপোর্ট লেখার সময় (সকাল পৌনে ১১টা) সড়ক অবরোধ করে সেখানে দলের নেতাকর্মীরা বক্তব্য রাখছিলেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে সেখানে বক্তৃতা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক গাজী গোলাম মোস্তফা, সহ-সভাপতি এইচএম আমির হোসেন, পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম মোড়ল প্রমুখ।

পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, বিপু ও তার লোকজন পুলিশ সদস্যকে মারধর করে আইন ভঙ্গ করেছেন। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ চাওয়া হয়েছে। শিগগিরই বিষয়টি নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে সাংবাদিকদের জানানো হবে।

 -এনটি

পূর্ববর্তি সংবাদদিনের শুরুতে খেজুর খাওয়ার বিস্ময়কর উপকারিতা 
পরবর্তি সংবাদএকদিনে সুস্থ আরও ৯৬৩, মৃত্যু ১৬ জনের, শনাক্ত ৭১৮