মেঘের চাদরে ঢাকা প্রিয় মদীনার পাহাড়

ইসলাম টাইমস ডেস্ক: শীতের এই সময়ে মদিনা মুনাওয়ারার আশেপাশে পাহাড়ের চূড়ায় ঘন কুয়াশা এবং মেঘের ব্যাপক আনাগোনা শুরু হয়েছে।

স্থানীয় একজন ফটোগ্রাফার আলফাকরা পর্বত শিখরে গভীর এবং শুভ্র মেঘমালার দৃশ্য ক্যামেরায় ধারণ করেছেন। যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভীষণ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।

ফটোগ্রাফার ওসামা আলহারবি আলফাকরা পর্বতমালার গায়ে পুঞ্জিভূত ও ভাসমান মেঘের নয়নাভিরাম ছবিগুলি ক্যামেরায় ধারণ করেছেন। যা তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন।

আল-আরবিয়ার সঙ্গে কথা বলার সময় আলহারবি বলছিলেন যে, তিনি পর্যটনের প্রতি অত্যন্ত আগ্রহী এবং ভ্রমণের সময় তিনি শুষ্ক অঞ্চল, পাহাড়ী এলাকা, পর্যটন ও বিনোদনমূলক আকর্ষণীয় জায়গাগুলির ছবি তুলে থাকেন। সম্প্রতি তিনি আল-ফকরা পর্বতের ছবি তোলেন। এই ছবিগুলি তোলা হয়েছিল যখন পর্বতের চূড়াগুলি মেঘে ঢাকা ছিল।

ওসামা আল-হারবি বলছিলেন, ফটোগ্রাফির প্রতি তাঁর অনুরাগের কথা বিবেচনা করে তিনি এই শিল্পটি শিখতে বেশ কয়েকটি কোর্স গ্রহণ করেছিলেন এবং ইন্টারনেটে প্রাপ্ত ফটোগ্রাফির তথ্যউপাত্ত থেকেও এই শিল্প রপ্ত করেছেন।

তিনি জানান, তিনি এ পর্যন্ত জাযান, আলফকরা, রা’সুল আবয়াদ সৈকত, তাবুকের তুষারপাত, হাকল-এর উপকূলীয় স্থানসহ বিভিন্ন মৌসুমে প্রাকৃতিক দৃশ্য, পর্বত, সমতল, সমুদ্র সৈকত এবং সবুজ উপত্যকার ছবির একটি বিশাল সংগ্রহ গড়ে তুলেছেন।

তিনি বলছিলেন, যখন তিনি আল-ফাকরা পর্বতশৃঙ্গের ছবি তোলেন তখন তিনি পর্বতের উচ্চতা এবং শিখরে আঘাতকারী মেঘপুঞ্জের দিকে মনোনিবেশ করেন।

তিনি বলেন, আলফাকরার ছবি তোলার সময় আমার ড্রোনও মেঘের মধ্যে হারিয়ে যায়। যাইহোক, ড্রোনটি পরে ফিরে আসে। ড্রোনটির সাহায্যে আমি পর্বতের চূড়ার অসাধারণ দৃশ্যগুলি ক্যামেরায় মেঘের ওপর থেকে তুলেছিলাম।

ওসামা আল-হারবি বলেন, আলফাকরা হলো একটি ধারাবাহিক পর্বতশৃঙ্গ। এর উচ্চতম শীর্ষটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৯০১ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত।

ভাষান্তর: সাইফ নূর

-এমএসআই

পূর্ববর্তি সংবাদতুরস্কের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে যে শর্ত দিল ইসরাইল!
পরবর্তি সংবাদনিক্সন চৌধুরীর কুশপুত্তলিকা দাহ: ‘সন্ত্রাসী দিয়ে ভোটে জিতে আজ এত সাহস!’