দিল্লিতে সংঘর্ষে আহত ৮৬ পুলিশ, অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন

ইসলাম টাইমস ডেস্ক: ভারতে আন্দোলনরত কৃষকদের হামলায় ৮৬ জন পুলিশ আহত হয়েছেন। তাদের রাজধানী দিল্লির বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। আহতদের মধ্যে এক জনের অবস্থা সঙ্কটজনক।

মঙ্গলবার দিল্লির বুকে আন্দোলনকারী কৃষকরা ট্রাক্টর নিয়ে মিছিল করার সময় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। কৃষকরা ট্রাক্টর নিয়ে জোর করে এগিয়ে যেতে চাইলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। অভিযোগ, পাল্টা কৃষকরাও মারমুখী হয়ে ওঠে। দু’পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশকে লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করতে হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, ৩০০টি ব্যারিকেড ভাঙেন আন্দোলনকারীরা। ১৭টি সরকারি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আটটি ডিটিসি-র বাসে ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এ বিষয়ে পাণ্ডব নগর ও সীমাপুরী এবং গাজীপুর থানায় মোট চারটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

 

রাজধানীতে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পরিস্থিতি সামলাতে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এদিকে ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লির লালকেল্লারও দখল নিয়েছেন দেশটির কৃষকরা। মঙ্গলবার দুপুরে ব্যারিকেড ভেঙে লালকেল্লা ঢুকে পড়েন একদল বিক্ষোভকারী। পরে সেখানে কৃষক সংগঠন নিশান সাহিবের পতাকা টাঙ্গানো হয়।

এদিকে এদিন পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে এক বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, পুলিশের লাঠির ঘায়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে দিল্লির বহু জায়গায় ইন্টারনেট পরিষেবা এবং মেট্রো স্টেশন বন্ধ করা হয়েছে।

দিল্লি-এনসিআর এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা মধ্যরাত পর্যন্ত ছিন্ন থাকবে। যার প্রভাব পড়বে সিংঘু, গাজিপুর, টিকরি সীমান্ত, মুবারকা চক, নাংলোইয়ে।দিল্লির লালকেল্লা দখল করলো কৃষকরাট্রাক্টর মিছিল মঙ্গলবার সকাল থেকেই ছিল উত্তেজনাপূর্ণ। সেখান থেকে তা পুরোপুরি অশান্ত চেহারা নেয়। রাজধানীর একাধিক জায়গায় প্রতিবাদী কৃষক এবং পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।

এর মধ্যেই মঙ্গলবার দুপুরের মধ্যে‌ অন্তত ২০টি ট্রাক্টর ঢুকে পড়ে লাল কেল্লা চত্বরে। সেখানে জাতীয় পতাকার পাশেই আন্দোলনকারীরা একটি খুঁটিতে পুঁতে দেয় আন্দোলনের নিশান— কৃষক সংগঠনের একটি পতাকা। তখনই পুলিশের লাঠিচার্জে দুপক্ষে শুরু হয় সংঘর্ষ।

এক আন্দোলনকারী লালকেল্লার সামনে দাঁড়িয়ে বলেন, মোদি সরকারকে বার্তা দিতে এসেছিলাম। কাজ শেষ। এখন চলে যাচ্ছি।

আরেকজন বলেন, ‌তারা আটকানোর চেষ্টা করেও লাভ হয়নি। আমরা লালকেল্লায় পৌঁছেছিই। এভাবেই লক্ষ্যে পৌঁছব, কৃষি আইন বাতিল করিয়ে ছাড়ব।

এখনো ভারত সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘটনার বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। তবে জানা গেছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বৈঠক করেছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

ইজে

পূর্ববর্তি সংবাদসৌদির তায়েফে পানির ট্যাংক পরিস্কার করতে গিয়ে ৩ বাংলাদেশির মৃত্যু
পরবর্তি সংবাদচট্টগ্রামে সিটি নির্বাচন: আসাদগঞ্জে দুই বিদ্রোহী সমর্থকদের সংঘর্ষ ও গোলাগুলি