মামলার রায়ে কোরআনের আয়াতের উদ্ধৃতি

ইসলাম টাইমস ডেস্ক: ২০১৭ সালের ১ নভেম্বর কাকরাইলের পাইওনিয়র গলির ৭৯/১ নম্বর বাসার গৃহকর্তা আবদুল করিমের প্রথম স্ত্রী শামসুন্নাহার করিম (৪৬) ও তার ছেলে শাওনকে (১৯) হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার পরদিন রাতে নিহত শামসুন্নাহারের ভাই আশরাফ আলী বাদী হয়ে রমনা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় আব্দুল করিম, আব্দুল করিমের দ্বিতীয় স্ত্রী শারমিন মুক্তা, মুক্তার ভাই জনিসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়।

চলতি বছরের  ১৭ জানুয়ারি রাজধানীর কাকরাইলে মা ও ছেলেকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তিন আসামির মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলম। রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, ‘মহান আল্লাহ আমাদের যে সব নিয়ামত দান করেছেন তার মধ্যে সুসন্তান অন্যতম শ্রেষ্ঠ নিয়ামত। সন্তানের আশা-ভরসার শেষ আশ্রয়স্থল হলো তার পিতা। আর স্ত্রী হলেন সহর্ধমিনী, অর্ধাঙ্গিনী ও সন্তানের জননী। সেকারণে প্রত্যেক স্ত্রী তার স্বামীর কাছে সম্মানের পাত্রী। স্বামীর কাছে স্ত্রীর রয়েছে বহুমাত্রিক অধিকার। স্বামী ও স্ত্রী একে অন্যের সহায়ক ও পরিপূরক। সূরা বাকারার একটি আয়াত তুলে ধরে বিচারক বলেন, আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনে স্বামী-স্ত্রী সম্পর্কে বলেন, তারা তোমাদের আবরণ এবং তোমরা তাদের আবরণ।’ -সূরা আল বাকারা: ১৮৭

ইসলাম ধর্ম শান্তি ও সত্যের ধর্ম। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনের সূরা মায়িদার ৩২ নম্বর আয়াত তুলে ধরে বিচারক আরও বলেন, ‘যে কোনো ব্যক্তিকে হত্যা করে, অন্য কোনো প্রাণের বিনিময় ব্যতীত কিংবা পৃথিবীতে কোনো ফ্যাসাদ সৃষ্টির অপরাধ ছাড়া, সে যেন সকল মানুষকে হত্যা করল।’

 ইজে
পূর্ববর্তি সংবাদওয়াজ মাহফিলে ও মসজিদের মিম্বরে বসে রাজনীতি করবেন না: আবদুল কাদের মির্জা
পরবর্তি সংবাদবৃহস্পতিবার থেকে তাপমাত্রা বাড়তে পারে