ইসলাম টাইমস ডেস্ক: গত নয় দিনে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গুলিতে তিনজন ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন।
সর্বশেষ আজ শুক্রবার পশ্চিম তীরে এক ফিলিস্তিনি যুবককে গুলি করে হত্যা করে ইহুদিবাদী দখলদার বাহিনী।
গত রবিবারও (৩১ জানুয়ারি) পশ্চিম তীরে এক ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করেছিল ইসরায়েলি সেনারা। ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, ওই ফিলিস্তিনি সেনাদের ওপর ছুরি দিয়ে আক্রমণের চেষ্টা করছিল। তার আগে ২৬ জানুয়ারি একই অভিযোগে ১৭ বছরের এক কিশোরকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
ইসরায়েলি বাহিনী কর্তৃক শুক্রবারের হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে পশ্চিম রামাল্লাহর কারকর গ্রামের ভিলেজ কাউন্সিলের প্রধান রাধি আবু ফাখিদা বলেন, ‘সকাল থেকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী রাস কারকর এলাকায় প্রবেশে বাধা দিচ্ছিল। যারা ভেতরে ছিল তাদেরকে স্থান ত্যাগে বাধা দেয় ইসরায়েলি বাহিনী। পরে ফিলিস্তিনি নাগরিক মৈত্রী কর্তৃপক্ষ খালেদ নওফালের মৃত্যুর খবর পায়। খবর পেয়ে খালেদের পরিবারকে তার মৃত্যু সম্পর্কে জানায়। খালেদ নওফালের মৃতদেহ দখলদার ইসরাইলের কাস্টডিতে ছিল।
চলতি বছরের শুরুতে ইসরায়েলভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন বি-স্লিম জানায় ২০২০ সালে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী ২৭জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। এর মধ্যে সাতজন শিশুও ছিল।
মানবাধিকার সংগঠনটি জানায়, তারা ইসরায়েলি বাহিনী কর্তৃক ২৭টি হত্যাকাণ্ডের মধ্যে পশ্চীম তীরের ১৬টি হত্যার ঘটনা তদন্ত করেছে। তদন্ত করে তারা অন্তত ১১জনকে কোনো বৈধ কারণ ছাড়াই হত্যা করার প্রমাণ পেয়েছে।
ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনের মানবাধিকার সংগঠনগুলোর দাবি ইসরায়েল অনেক ক্ষেত্রে অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করে। আটক করা যায় সন্দেহভাজন এমন অভিযুক্তকে ইহুদি সেনারা গুলি করে হত্যা করে।
১৯৬৭ সালের যুদ্ধে ইসরায়েল পশ্চিম তীর দখল করে। পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের চার লাখ ৭৫ হাজার বসতি আছে আন্তর্জাতিক আইনে যেটা অবৈধ। ওই অঞ্চলে ২৮ লাখ ফিলিস্তিনি বসবাস করে।
সূত্র: আনাদোলু
-এসএন