উত্তরাখণ্ডে হিমবাহ ভেঙে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৪, এখনো নিখোঁজ ১৭০ জন

ইসলাম টাইমস ডেস্ক: ভারতের উত্তরাখণ্ডের চমোলি জেলায় হিমবাহ ভেঙে তুষারধসে ১৭০ জনেরও বেশি নিখোঁজ হয়েছেন। এ পর্যন্ত ১৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আরও অনেকের মৃত্যু হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

রোববার দুপুর পর্যন্ত ১০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই ঘটনায় এখনও কমপক্ষে দেড় শতাধিক মানুষ নিখোঁজ আছেন। খবর বিবিসি ও আনাদোলুর।

প্রেসিডেন্ট রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ভয়াবহ ওই বিপর্যয়ে উদ্বেগ প্রকাশের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।

ওই ঘটনা কেন্দ্র করে রোববার সন্ধ্যায় ন্যাশনাল ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটির বিশেষ বৈঠকে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়।

রোববার সকালে জোশিমঠের কাছে তুষারধসে ধৌলিগঙ্গার পানিরস্তর প্রবলভাবে বেড়ে গিয়ে এ বিপর্যয় ঘটে। এতে ফাটল দেখা দিয়েছে ধৌলিগঙ্গা নদীর ওপরে থাকা বাঁধে। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি বাঁধ ভেঙে গেছে। পানির স্তর বেড়েছে ধৌলিগঙ্গা নদীতে। ঋষিগঙ্গা পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

তপোবন জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের অনেক শ্রমিক পানির তোড়ে ভেসে গেছেন। প্রশাসনের আশঙ্কা এরা কেউই হয়তো আর বেঁচে নেই।

উত্তরাখাণ্ডের মুখ্যসচিব ওম প্রকাশ বলেন, আটকেপড়া পানি বিদ্যুৎ প্রকল্পের অনেকেই পানির তোড়ে ভেসে গিয়ে থাকতে পারেন। এ ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

ভারতের উত্তরখণ্ডে তুষারধসে একটি বিস্তৃর্ণ এলাকা ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। এতে শতাধিকের বেশি মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে।

রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উত্তরখণ্ডের চামোলি জেলায় নন্দাদেবী শিখরের কাছে এ হিমালয়ধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে একটি স্থানীয় জলবিদুৎ প্রকল্পও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে ইন্দো-তিব্বত সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ২০০ জনের উদ্ধারকারী দল উদ্ধারকাজ শুরু করেছে। চামোলি থেকে ঋষিকেশ যাওয়ার রাস্তায় ইতোমধ্যে লাল সতর্কতা জারি হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে এরকম প্রবল বৃষ্টি ও হরপা বানে উত্তরাখণ্ডে প্রায় ছয় হাজার মানুষ মারা যান।

-এনটি

পূর্ববর্তি সংবাদবান্দরবানে বিজিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ২ রোহিঙ্গা যুবক নিহত
পরবর্তি সংবাদলাইন মেরামত করতে উঠে বিদ্যুৎস্পর্শে শ্রমিকের মৃত্যু