নিউইয়র্ক শরিয়া বোর্ডের উদ্যোগে ২৪ সেপ্টেম্বর উডসাইড মদিনা মসজিদ নিউইয়র্কে উলামায়ে কেরামের একটি পরামর্শসভা অনুষ্ঠিত হয়। শরিয়া বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আগামীতে বড় পরিসরে হালাল যবীহা ও গোশতের বিষয়ে একটি কর্মশালা আয়োজন করা হবে। এতে নিউইয়র্কের শতাধিক আলেম উপস্থিত থাকবেন যারা পরবর্তী সময়ে হালাল যবীহার ব্যাপারে মাঠ পর্যায়ে মনিটরিং করবেন।
নিউইয়র্ক থেকে মাওলানা আনাস জানান, অনেকে পার্থক্যটা বুঝে উঠতে পারেন না। শুধু হালাল প্রাণী হলেই হালাল গোশত হয়ে যায় না। সঠিক পদ্ধতিতে জবাই করতে হয়। দোকানগুলো হালাল বলেও হালাল গোশত বিক্রি করছে না। নিউইয়র্ক শরিয়া বোর্ড চায় এখানকার মুসলিমরা যেন শতভাগ হালাল গোশত খেতে পারে।

সারা বিশ্বের মতো আমেরিকার দ্বীনদার মুসলিমরাও দিন দিন ইসলামি বিধান পালনে আগ্রহী হয়ে উঠছে। বর্তমানে আমেরিকার ৭৫ ভাগ মুসলিম হালাল গোশত কেনার চেষ্টা করে থাকেন। কিন্তু তাদের অনেকেই হালাল গোশতের বিষয়টি সচেতনভাবে জানেন না। এ বিষয়ে মুসলিমদের মধ্যে সচেতনতা তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে নিউইয়র্ক শরিয়া বোর্ড। এ পর্যন্ত তারা প্রায় ৫০/৬০টি ঘরোয়া সভার আয়োজন করেছে। ফলে অনেকেই সতর্ক হচ্ছেন।
নিউইয়র্কের মুসলিমদের কাছে নিউইয়র্ক শরিয়া বোর্ড এরই মধ্যে নির্ভরযোগ একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। অনাকাঙ্ক্ষিত বিবাহ-বিচ্ছেদ রোধে কাউন্সেলিং, ইসলাম বিষয়ক আইনি পরামর্শ, সরকারের তরফ থেকে প্রেরিত কোনো ধর্মীয় বিষয়ের সত্যায়ন, হালাল গোশত, চাঁদ দেখে ইবাদতের সময়-তারিখ জানিয়ে দেওয়াসহ নানামুখী দ্বীনি কাজ করে থাকে নিউইয়র্ক শরিয়া বোর্ড।আমেরিকাভিত্তিক এ প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা হায়দারাবাদের মুফতি নাওয়ালুর রহমান ছাহেব। নিউইয়র্ক সিটিসহ আরও কয়েকটি শহরের চেয়ারম্যান বাংলাদেশি আলেম মুফতি জামাল উদ্দিন ছাহেব।
