চান্দুর নেহারি : মিরপুরের ভোজনরসিকদের রসনাবিলাস

সাদ আবদুল্লাহ মামুন  ।।  

ভোজনরসিক হিসেবে দেশে-বিদেশে বাঙালির খ্যাতি আছে। কোনো খাবার ভালো লাগলে দাম যা-ই হোক, যেখানেই পাওয়া যাক-খাওয়া চাই।

এমনই একটি খাবার মিরপুর কালশীর চান্দুর নেহারি।

মিরপুর কুর্মিটোলা বিহারি ক্যাম্পের সামনে, কালশী মসজিদ থেকে উত্তর দিকে রাস্তার পাশে  চান্দুর নেহারির দোকান। প্রতিদিন মিরপুর কালশী, মাটিকাটা, ডিওএইচসহ আশপাশ থেকে ভোজনরসিকরা ভিড় জমায় তার দোকানে।

বিকেল থেকে শুরু হয় বিক্রি। তবে নেহারি খাওয়া জমে ওঠে মাগরিবের পর। সাধারণত রাত দশটার মধ্যে শেষ হয়ে যায় বিক্রিবাট্টা।

দোকানটি ছোটমতো দোতলা। বসার জায়গা অল্প। তাই জায়গা না পেয়ে অনেকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করেন।

চান্দুর দোকানের মূল আইটেম নেহারি। সঙ্গে থাকে লুচি ও পুরি। গরু আর মহিষের পায়া ও বিশেষ বিশেষ হাড় দিয়ে বানানো হয় এ নেহারি। বড় বড় ডেগে নেহারি রান্না করে আনা হয় দোকানে। নেহারির গন্ধে দোকানের চারপাশ আচ্ছন্ন হয়ে থাকে রাত অব্দি।

প্রতি বাটি নেহারির দাম ৮০ থেকে ১০০ টাকা। আছে স্পেশাল আইটেম। স্পেশাল আইটেমের দাম ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা। অনেকে পরিবারের জন্য বাসায়ও নিয়ে যান। তাদের জন্য পার্সেল ব্যবস্থা আছে।

দোকানের মালিকের নাম চান্দু হোসেন। জাতে বিহারি। ২৭-২৮ বছর আগে পেটের ধান্ধায় নেহারি বানানো শুরু করেন। রান্নার হাতযশের কারণে অল্প দিনেই খ্যাতি পেয়ে যান। সেই থেকে এখনও চলছে নেহারির রসনাবিলাস।

চান্দু নিজেই নেহারি রান্না করেন। আর কেউ তার মতো সুচারুভাবে নেহারি রান্না করতে পারে না। বাবার কাছ থেকে শেখা এ রান্নাবিদ্যা দিয়েই ঢাকা শহরে বাড়ি করেছেন চান্দু হোসেন। তবে তার চেয়েও বড় প্রাপ্তি মানুষের ভালোবাসা। মানুষ যখন নেহারি খেয়ে তৃ্প্তিলাভ করে, নেহারির প্রশংসা করে-সেটাই তার সবচে বড় পাওয়া। এমনটিই বলছিলেন চান্দুর নেহারির মালিক।

একদিন সুযোগ করে আপনিও চেখে দেখতে পারেন মিরপুর কালশীর বিখ্যাত চান্দুর নেহারি।

পূর্ববর্তি সংবাদআড়িয়ল বিলের ছায়ায় আড়িয়ল বিলের মায়ায়
পরবর্তি সংবাদউন্মোচনের পথে জামাল খাশোগির হত্যারহস্য!