নিরাপত্তার স্বার্থে বাংলাদেশে ফেসবুক, ইউটিউব বা গুগলের মতো ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের ওপর নজর রাখতে সরকার নানা ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের নিরাপদ থাকার জন্য যেসব ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার, সেসব ব্যবস্থা আমরা নেব।’
তবে এ বিষয়টিকে তিনি সামাজিক মাধ্যমের ওপর ‘নজরদারি’ বলতে অস্বীকৃতি জানান।
কারণ হিসেবে মন্ত্রী বলেন, ‘যেসব ক্ষতিকর বিষয় আছে, সেসব যেন আমরা সনাক্ত করতে পারি। আমি তো আর ফেসবুক বন্ধ করে দিতে পারবো না । তবে যেখানে যেখানে প্রয়োজন, নিজের ভূখণ্ডকে নিরাপদ রাখতে প্রযুক্তি ব্যবহার করার যতটুকু সুযোগ আছে, ততটুকু প্রযুক্তি ব্যবহার করবো।’
সরকার কি ফেসবুক, গুগল বা ইউটিউবের মতো ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপের লক্ষ্যেই এই প্রযুক্তি আনার কথা বলছে?
বিবিসি বাংলার এ প্রশ্নের উত্তরে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘নিয়ন্ত্রণ শব্দটি নিয়েই আমার আপত্তি আছে। ফেসবুক, গুগল, ইউটিউব, এগুলো আমেরিকান প্রতিষ্ঠান। সেদেশের আইনে প্রতিষ্ঠিত। সেদেশের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড দ্বারা পরিচালিত। অন্যান্য দেশে তারা যেরকম সংকট তৈরি করে, আমাদের দেশে সংকটটা একটু বেশি তৈরি হয়। কারণ আমাদের জীবন-যাপনের মান আমেরিকানদের মতো নয়। আমাদের স্ট্যান্ডার্ড ভিন্ন। আমাদের ধর্মীয় মূল্যবোধ থেকে শুরু করে সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ সবই ভিন্ন মাত্রার।’
এই কাজের জন্য সরকার যে প্রযুক্তি ব্যবহারের কথা বলছে, সেটি তাহলে কী ধরনের হবে?
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘এটি মনিটরিং করা থেকে শুরু করে যেখানে যেখানে ক্ষতিকর উপাদান থাকবে, সেটা থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা। ডিজিটাল প্রযুক্তি কেবল মাত্র কোন একটা শব্দ, বা ছবি বা কোন একটা সুনির্দিষ্ট বিষয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। এখনকার প্রযুক্তি এবং ভবিষ্যতের প্রযুক্তির সক্ষমতা অনেক বেশি। সুতরাং সেই সক্ষমতা অনুযায়ী আমার দেশকে নিরাপদ রাখা, দেশের মানুষকে নিরাপদ রাখা, ডিজিটাল অপরাধ থেকে নিরাপদ রাখা। এটাই আমাদের লক্ষ্য।’
