ভারতের আজমগড় ইজতেমা : সাদপন্থীদের আরেক পরাজয়

ইসলাম টাইমস ডেস্ক ।।  এ মাসের ২৬, ২৭ ও ২৮ তারিখে ভারতের উত্তরপ্রদেশে অনুষ্ঠিত হলো তাবলিগের বিশেষ ইজতেমা। উত্তরপ্রদেশের আজমগড় জেলার ফুলপুরে অনুষ্ঠিত এ ইজতেমার আয়োজক ছিলেন তাবলিগের ‘আলমি শুরা’ কমিটি। দাওয়াতি কাজকে বিশ্বব্যাপী বেগবান করা এবং যেকোনো ভ্রান্ত বিশ্বাসকে প্রশ্রয় না দেয়ার প্রত্যয়ে ২৮ অক্টোবর আখেরি মুনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয় এ ইজতেমা।

ভারতে দাওয়াতে তাবলিগের প্রধান মারকাজ উত্তরপ্রদেশের নিজামুদ্দিন মসজিদ হলেও বেশ কিছুদিন ধরে বিশ্ব তাবলিগে নিজামুদ্দিনের প্রভাব কমে আসছে। নিজামুদ্দিনের প্রধান আমির মাওলানা সাদ কান্ধলভির আকিদাগত ভ্রান্তির কারণে বিশ্বব্যাপী আলেমদের পরামর্শে আলাদাভাবে চলছে তাবলিগের কাজ।

তারই ধারাবাহিকতায় নিজামুদ্দিন এবং মাওলানা সাদকে ছাড়াই আলমি শুরার নেতৃত্বে আজমগড়ের ফুলপুরে অনুষ্ঠিত হয় সর্বভারতীয় ইজতেমা। এর আগে ভারতের আরও কয়েকটি শহরে আলমি শুরার রাজ্য-ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজমগড়ের এ ইজতেমায় এ বছরের লোক সমাগম ছিল অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি। ফুলপুর থানার সদরপুরের নির্ধারিত জায়গায় আগত মুসল্লিদের স্থান সংকুলান না হওয়ায় পরবর্তীতে আশপাশের রাস্তা ও খালি জায়গায় প্যান্ডেল টানিয়ে থাকার ব্যবস্থা করা হয়।

আজমগড় ইজতেমা আয়োজনের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল সাধারণ মানুষকে মাওলানা সাদ কান্ধলভির ভ্রান্ত বিশ্বাস সম্পর্কে অবগত করা এবং বিশ্বব্যাপী তাবলিগের কাজে যেন এ ভ্রান্তির প্রভাব না পড়ে, সে বিষয়ে সতর্ক করা।

ধারণা করা হচ্ছিল, ভারতে মাওলানা সাদ-এর প্রভাব বেশি হওয়ায় আলেমদের নেতৃত্বাধীন আলমি শুরা সেখানে প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না। কিন্তু আজমগড়ের এ ইজতেমা আয়োজন এবং বিপুল পরিমাণ মুসল্লির সমাগম সে সংশয়কে মিথ্যা প্রমাণিত করেছে।

এইজতেমা শেষে পরবর্তী ইজতেমা হবে ভারতের আরেক ঐতিহাসিক নগরী হায়দারাবাদে।

আজমগড়ের এ ইজতেমায় সারা ভারতের দেওবন্দপন্থী আলেমগণ অংশগ্রহণ করেন। ইজতেমার শেষদিন আখেরি বয়ান ও আখেরি মুনাজাত করেন দিল্লির মাওলানা আহমদ লাট। সোয়া ঘণ্টাব্যাপী তার মুনাজাতের মাধ্যমে ইজতেমার সমাপনী ঘোষণা করা হয়।

পূর্ববর্তি সংবাদআবুধাবিতে ইসরাইলি নারী মন্ত্রীর মসজিদ পরিদর্শন ও আনন্দ অশ্রু
পরবর্তি সংবাদজিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় শাস্তির মেয়াদ বেড়েছে খালেদা জিয়ার