আসামে বাঙালি গণহত্যার প্রতিবাদে কলকাতায় বিক্ষোভ

আসামের বাঙালি গণহত্যা নিয়ে কলকাতায় বিক্ষোভ

ইসলাম টাইমস ডেস্ক : ভাষার নামে, ধর্মের নামে, জাতির নামে আসামে নিরীহ মানুষদেরকে হত্যা করে মানুষের মধ্যে বিভাজন করছে আসাম সরকার। বিজেপি ও আরএসএস মানুষকে বোকা বানিয়ে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি মাত্রা বৃদ্ধি করছে। আসামে শুরু হয়েছে মানুষ মারার রাজনীতি। এমনই অভিযোগ তুলে শুক্রবার আসামের তিনসুকিয়ায় গণহত্যার প্রতিবাদে আসাম ভবনের সামনে গর্জে উঠল ইয়ং বেঙ্গলসহ বিভিন্ন সংগঠন।

ওই সংগঠনগুলির হুঁশিয়ারি, বাংলার মাটি দিলীপ– অমিতের মাটি নয়। বিজেপি বাংলার মাটিতে সাম্প্রদায়িকভাবে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। কিন্তু এই মাটি বাঙালির রক্তে গড়া মাটি। এই মাটিতে বিভাজনের রাজনীতি আমরা মানব না।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাতে আসামের তিনসুকিয়ার খেরনিবাড়ি গ্রামের পাঁচ বাঙালি বাসিন্দাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদীর চরে খুন করে আলফা (আই) জঙ্গিরা। যদিও আলফা জঙ্গি সংগঠন ঘটনার কথা অস্বীকার করেছে।

অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে রাত ৮টা নাগাদ গ্রামে হানা দেয় আলফা (আই) জঙ্গিরা। বেছে বেছে তারা হামলা চালায় বাঙালি পরিবারগুলির উপর। দু’জন তখনই জখম হন। তারপর ওই বাঙালি পরিবারগুলির মধ্যে থেকে পাঁচজনকে তুলে নিয়ে যায় ওই জঙ্গিরা। তাঁরা হলেন, শ্যামল বিশ্বাস, অনন্ত বিশ্বাস, অবিনাশ বিশ্বাস, সুবল দাস ও ধনঞ্জয় নমঃশূদ্র। তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় ধোলা-সাদিয়া সেতুর কাছে। সেখানেই সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে খুন করা হয়। যদিও আসামের সাম্প্রতিক নাগরিকপঞ্জি ইস্যুতে এই খুন বলেই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে চারিদিকে।

ঘটনার প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন স্বয়ং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই নৃশংস গণহত্যার তীব্র নিন্দা করেছেন তিনি।

আসামের এই ঘটনা নিয়ে উঠেছে চারিদিকে নিন্দার ঝড়। ব্যাতিক্রমী নয় কলকাতাও। যদিও ঘটনা নিয়ে আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোওয়াল তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

পূর্ববর্তি সংবাদটেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ২
পরবর্তি সংবাদপ্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বি. চৌধুরীর যুক্তফ্রন্টের সংলাপ, নেই মাহী