ইসলাম টাইমস ডেস্ক : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারে আপত্তি না-ও থাকতে পারে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের। তবে তাদের তিনটি জোরালো দাবি থাকতে পারে। ১. সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে ভোট গ্রহণ। ২. নির্বাচনকালীন সরকারের মন্ত্রিসভায় টেকনোক্র্যাট কোটায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বা সংসদের বাইরের বিরোধী দলগুলো থেকে মন্ত্রী করে তাদের স্বরাষ্ট্র বা জনপ্রশাসনের মতো মন্ত্রণালয় দেওয়া। ৩. বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিনে মুক্তি ও তাঁর ভোটে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সাজা স্থগিত করা। বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বিভিন্ন শীর্ষ নেতার সূত্রে এমন আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
শোনা যাচ্ছে, সরকারের সঙ্গে ৭ নভেম্বর দ্বিতীয় বারের সংলাপে ঐক্যফ্রন্ট সীমিত পরিসরে সুনির্দিষ্ট কিছু তত্ত্বগত বিষয় নিয়ে আলোচনা করবে। সংবিধানের মধ্যে থেকেই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার উপায়গুলো নিয়ে তারা সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবে।
সংসদ ভেঙে নির্বাচন করার কথা সংবিধানে সুস্পষ্ট বলা আছে। যদি সরকার সংসদ ভেঙে নির্বাচন দেওয়ার দাবি মানে তাহলে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়টিতে ঐক্যফ্রন্ট অনড় থাকবে না বলে শোনা যাচ্ছে।
সংবিধান অনুযায়ী মন্ত্রিসভার সদস্যদের এক-দশমাংশ টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী রাখা সম্ভব। এই মন্ত্রীদের জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বা বিরোধীদের থেকে নিয়ে জনপ্রশাসন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতো কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব তাদের দেওয়া যেতে পারে।
আর রাষ্ট্রপক্ষ যদি বিএনপি চেয়ারপারসনের জামিনের বিরোধিতা না করে তাহলে ভোটের সময় খালেদা জিয়ার মুক্তি সম্ভব। এবং তিনি ভোটে অংশগ্রহণ করতে পারেন।
শোনা যাচ্ছে, বিশেষভাবে এই তিনটি চাওয়া নিয়ে আগামী ৭ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
