শনিবার জামিয়া রাহমানিয়ার ফুজালা সম্মেলন

আতাউর রহমান খসরু ।।

আগামী ১৭ নভেম্বর শনিবার দেশের অন্যতম দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়ার ফুজালা সম্মেলন। রাজধানীর মুহাম্মদপুরের কবরস্থান মাঠে প্রাক্তন ছাত্রদের এই পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হবে।

দারুল উলুম দেওবন্দের শায়খে সানি আল্লামা কামার উদ্দিন ফুজালা সম্মেলনের প্রধান অতিথি এবং আল্লামা আশরাফ আলী বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

এছাড়াও দেশ বরেণ্য উলামায়ে কেরাম উপস্থিত হবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।

জামিয়া রাহমানিয়া প্রতিষ্ঠার তিন দশক উপলক্ষ্যে প্রাক্তন ছাত্রদের মধ্যে একটি সেতুবন্ধন তৈরির জন্য এ সম্মেলনের আয়োজন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়ার প্রিন্সিপাল মাওলানা মাহফুজুল হক জানিয়েছেন, ‘জামিয়া প্রাক্তন ছাত্রদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি, তাদের দ্বীনি খেদমতসমূহের মধ্যে সমন্বয় ও সহযোগিতার পথ প্রশস্ত করতেই এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।’

এ সম্মেলনে জামিয়া দুই সহস্রাধিক ফুজালা অংশগ্রহণ করবেন বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।

Image result for জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া

শায়খুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক ১৯৮৬ সালে ঢাকার ঐতিহাসিক সাত গম্বুজ মসজিদের পাশে জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠার ৩৩ বছরে দুই হাজারের বেশি শিক্ষার্থী জামিয়া থেকে দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) সম্পন্ন করেছেন। প্রাক্তন এসব ছাত্রদের পুনর্মিলনীর জন্যই এ সম্মেলনের আয়োজন করেছে জামিয়া রাহমানিয়া।

প্রাক্তন ছাত্রদের এ সম্মেলন বাস্তবায়ন করতে মাওলানা মামুনুল হককে আহবায়ক এবং মাওলানা ওয়াজেদ আলীকে সদস্য সচিব করে একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।

মাওলানা মামুনুল হক ইসলাম টাইমসকে বলেন, ‘আল হামদুলিল্লাহ! আমাদের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। জামিয়া তার প্রিয় শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। ইনশাআল্লাহ! এই সম্মেলন জামিয়ার ছাত্রদের দ্বীনি খেদমতের অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।’

ফুজালা সম্মেলনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘হজরত শায়খুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক রহ. জীবিত থাকাকালীন সময় থেকেই অর্থাৎ ২০০৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত ফারেগিন ছাত্রদের কেন্দ্র করে বিশেষ কোনো আয়োজন হয়নি। দস্তারবন্দী মাহফিলও করা হয়ে ওঠেনি। দীর্ঘদিনের চাহিদা ছিল একটি বড় আয়োজন করার। সেখান থেকেই এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। আমরা আশা করছি, এই সম্মেলন তাদের মধ্যে সহযোগিতা ও সম্প্রীতির সম্পর্ক তৈরি হবে।’

ফুজালা সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য ও জামিয়া রাহমানিয়ার শিক্ষক মাওলানা এহসানুল হক জানান, এ পর্যন্ত প্রায় সতেরশো শিক্ষার্থী তথ্য ফরম পূরণ ও রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছেন। তবে অংশগ্রহণ আরও বেশি হবে বলেই আশা করছেন তারা। নানাবিধ কারণে কেউ রেজিস্ট্রেশন করতে না পারলে মাঠে তাদের জন্য রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ থাকবে।

তিনি আরও বলেন, ‘দুটি বড় লক্ষ্য সামনে রেখে ফুজালা সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। এক. দেশব্যাপী রাহমানিয়া ফুজালা পরিষদ গড়ে তোলা। দুই. আগামী বছর ৩৩ সালা দস্তারবন্দী সম্মেলনের আয়োজন করা। যার সম্ভাব্য তারিখ ৫-৬ ডিসেম্বর ২০১৯।

রাহমানিয়া ফুজালা পরিষদ সারা দেশে অরাজনৈতিক সমাজসেবামূলক দ্বীনি সংগঠন হিসেবে কাজ করবে বলেও তিনি জানান।
ফুজালা সম্মেলন উপলক্ষ্যে বিশেষ স্মারক প্রকাশ করেছে জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া। স্মারকে রাহমানিয়া ৩৩ বছরের ফারেগ ছাত্রদের নাম, ঠিকানাসহ প্রয়োজনীয় তথ্য রয়েছে।

ফুজালা সম্মেলন উপলক্ষে সম্মেলন প্রাঙ্গণে বিশেষ কিতাবমেলা হবে বলে জানিয়েছেন মাওলানা এহসানুল হক।

সম্মেলন বাস্তবায়নে সকল প্রাক্তন ছাত্রের আন্তরিক অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা কামনা করেছেন জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়ার প্রিন্সিপাল মাওলানা মাহফুজুল হক।

পূর্ববর্তি সংবাদব্যথার মহৌষধ মৌমাছির হুল!
পরবর্তি সংবাদসরকারের আচরণের ওপর নির্ভর করছে নির্বাচনে যাওয়া : ফখরুল