আসন বণ্টনে এখনও সুরাহা হয়নি : বিকল্প প্রস্তুতি জমিয়ত ও খেলাফত মজলিসে!

আবরার আবদুল্লাহ ।।

আসন বণ্টন নিয়ে বিএনপির প্রতি অসন্তোষ বাড়ছে শরিকদের। নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে অথচ আসন বণ্টনের ব্যাপারে এখনও কোনো সুরাহা করছে না দলটি। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন শরিক দলের কেউ কেউ।

মিডিয়া পাড়ায় গুঞ্জন উঠেছে, বিএনপি জোট ছাড়তে যাচ্ছে দীর্ঘদিনের শরিক জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ এবং খেলাফত মজলিস।

খবরের সত্যতা যাচাইয়ে যোগাযোগ করলে উভয় দল বিষয়টি অস্বীকার করেন। তারা বলেন, বিষয়টি এখনও গুজব বলা যায়। দলের নির্বাহী কমিটিতে এমন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে আসন বণ্টনের সিদ্ধান্ত ঝুলিয়ে রাখায় তারা বিএনপির প্রতি খানিকটা বিরক্তি প্রকাশ করেন।

আসন বণ্টনের ব্যাপারে বিএনপি তার শরিকদের বলেছে, দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎ পর্ব শেষ হলেই শরিকদের সঙ্গে বসা হবে। তবে বিএনপির আশ্বাসে থেমে নেই দল দুইটির নিজস্ব নির্বাচন প্রস্তুতি। বিএনপির কাছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের দাবি ১৪ আসন কিন্তু তারা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন ৫২ আসনে। অন্যদিকে খেলাফত মজলিসের দাবি ১১টি আসন আর তারাও নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন অর্ধ শতাধিক আসনে।

খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব শেখ গোলাম আসগর বলেন, ‘জোট ছাড়ার ব্যাপারে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে আমরা ভিন্নভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি এগিয়ে নিচ্ছি। আজ আমরা আমাদের প্রার্থীদের সাক্ষাতের জন্য ডেকেছি।’

দলের নির্বাহী কমিটি কোনো সিদ্ধান্ত না নিলেও দলের কর্মীরা আসন বণ্টন নিয়ে বিরক্ত ও মনোক্ষুণ্ন বলে জানান এ মজলিস নেতা।

একইভাবে আসন সুরাহা না হওয়ায় ২০ দলীয় জোট ছাড়ার সংবাদটিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সৃষ্টি ও গুজব বলে উড়িয়ে দেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মন্জুরুল ইসলাম আফেন্দি।

তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের চোখে পড়েছে। তবে বিষয়টি গুজব ছাড়া কিছু না। জোট ছাড়ার ব্যাপারে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’

তাহলে ৫২ আসনে বিকল্প প্রার্থী প্রস্তুত রাখছেন কেন? ‘সবকিছুর পরও রাজনীতিতে কিছু অনিশ্চয়তা থেকে যায়। সতর্কতামূলক আমরা প্রার্থী প্রস্তুত রেখেছি। এটা সবাই রাখে।’ বলেন মাওলানা আফেন্দি।

যদি শেষ পর্যন্ত আসন বণ্টনে প্রত্যাশা-প্রাপ্তির হিসাব না মেলে তাহলে কী করবেন? মাওলানা আফেন্দি বলেন, বিএনপি যতোদিনের ভেতর আসন বণ্টন বিষয়ে সুরাহা করবে বলে আমাদের জানিয়েছে, সে সময়ের পরও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার অবকাশ থাকবে। তখন দরকার হলে দল সিদ্ধান্ত নেবে।

শেখ গোলাম আসগর বলেন, ‘আমরা এখনও নেতিবাচক চিন্তা করছি না। বিএনপির সঙ্গে বসলেই বোঝা যাবে আমাদের করণীয় কি? তখন সিদ্ধান্ত নেবো।’

পূর্ববর্তি সংবাদমির্জা ফখরুলের দাবি : খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে পারবেন
পরবর্তি সংবাদভারতের সহযোগিতা চায় বি চৌধুরীর যুক্তফ্রন্ট