ইসলাম টাইমস ডেস্ক : বালুচরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার দুপক্ষের টেঁটাযুদ্ধে ৩০ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ১০ জন টেঁটাবিদ্ধ হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয়পক্ষের বেশকিছু বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। গুরুতর আহত ১০ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
গুরুতর আহত ১০ জন হলেন জসিম মোল্লা (২৮), আসাদ মোল্লা (৪৫), জামাল মোল্লা (৫০), মাসুম (৪০), খোকন সরকার (৪৫), আক্তার মুন্সী (২৮), জাকারিয়া (২২), আক্তার মোল্লা (২৮), মজিবর মুন্সী (৫৫), মোক্তার হোসেন (৩৪)।
স্থানীয় সূত্র জানায়, দীর্ঘদিনের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে নুরু বাউল ও নাছির মোল্লা গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরে গত ২০ আগস্ট নাসির মোল্লা গ্রুপের তকদির মোল্লা নামে এক সমর্থক টেঁটাবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় আওলাদ মোল্লা বাদী হয়ে ৬০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার ৩৪ জনকে করা হয়। ১৯ নভেম্বর ২৭ জন জামিন পেয়ে ওই দিন সন্ধ্যায় তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বালুচর এলাকায় মহরা দেয়। দুই দিন উত্তেজনার পর বৃহস্পতিবার সকালে ফের বালুচরে টেঁটাযুদ্ধে দুগ্রুপের ১০ জন টেঁটাবিদ্ধসহ ৩০ জন আহত হয়। এ সময় নাছির গ্রুপের বেশকিছু বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। এছাড়া দুপুরে দোসরপাড়া মুন্সীবাড়িতে লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সিরাজদিখান থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে না পেরে শ্রীনগর ও টঙ্গিবাড়ী থানা পুলিশের সাহায্য নিয়ে বেলা ১১টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ সময় ২ জনকে আটক ও দেশীয় অস্ত্রসহ সহস্রাধিক টেঁটা উদ্ধার করা হয়। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
সিরাজদিখান সার্কেল সিনিয়র এএসপি আসাদুজ্জামান জানান, বালুচরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের টেঁটাযুদ্ধে সিরাজদিখান, শ্রীনগর ও টঙ্গিবাড়ি থানার পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বালুচরে পুলিশ মোতায়েন আছে। ২ জনকে আটক করা হয়েছে।
উপজেলার বালুচরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের এ সমস্যা তাদের পূর্বপুরুষদের সময় থেকে হয়ে আসছে বলে তিনি জানান।
