টঙ্গীময়দানে সাদপন্থীদের হামলা: পুলিশের মামলায় আসামি ২৫ হাজার

ইসলাম টাইমস ডেস্ক: টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে নৃশংস হামলার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ হাজার ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেছে।

রোববার রাতে এসআই রাকিব টঙ্গী পশ্চিম থানায় ওই মামলা (নং ০১) করেন। তবে কাউকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি। পুলিশ বলছে, প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত ইসমাইল মণ্ডলের পরিবারও মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

এদিন ‘তাবলিগি সাথী, সাধারণ মুসল্লি, আলেম-উলামা ও মাদ্রাসার ছাত্রদের ওপর নৃশংস হামলার প্রতিবাদ’ জানিয়েছে দেশের সর্বস্তরের জনগণ।

সংবাদ সম্মেলন করে তারা সাদপন্থী ওয়াসিফুল ইসলাম ও শাহাবুদ্দিন নাসিমকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়াসহ ৬ দফা দাবি জানিয়েছেন।

এ ছাড়া আজ সারাদেশে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন তারা।

ময়দানে ভাংচুর করা গাড়ি ও পোড়া মোটরসাইকেল পড়ে রয়েছে। দুপুরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ওয়াইএম বেলালুর রহমান ইজতেমা ময়দান পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি মুসল্লিদের ফেলে যাওয়া মালামাল প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তর করার জন্য ৯ সদস্যের কমিটি গঠন করে দেন।

পাঁচ দিনের জোড় (বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি সম্মেলন) ঘিরে মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা  আক্রোশবশত ময়দানে হামলা করে। এতে একজন নিহত হন। আহত হন সহস্রাধিক। আহতদের মধ্যে কারো অবস্থা অত্যন্ত  শোচনীয়।

পুলিশ জানায়, সংঘর্ষের পর শনিবার রাতে টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক রেজাউল করিম একটি সাধারণ ডায়েরি (নং ০৯) করেন। সেটিকে ভিত্তি ধরে রোববার মামলা করা হয়।

টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি এমদাদুল হক বলেন, ইজতেমা ময়দানে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।

নিহত ইসমাইল মণ্ডলের স্বজনরা লাশ দাফন করার জন্য গ্রামের বাড়ি চলে গেছেন। দাফন শেষে তারা একটি হত্যা মামলা করবেন বলে খবর পাওয়া গেছে। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার মো. শরিফুর রহমান জানান, উপ-কমিশনার মো. হানিফ হোসেনকে প্রধান করে ৯ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে।

পরিচয়পত্র ও প্রমাণ নিশ্চিত করে ইজতেমা ময়দানে ফেলে যাওয়া মালামাল মুসল্লিদের সরবরাহ করা হবে। তবে ময়দানে থাকা গাড়ির মালিকের স্বজনরা রোববার গাড়ি আনতে গেলে তাদের দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। হাজী এমএ কাদের বলেন, আমার ভাই মো. বিল্লাল হোসেন  আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

আমি কাগজপত্র নিয়ে তার জিপ (ঢাকা মেট্রো-ঘ-১১-৫৩১৭) আনতে গেলে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রথমে আশ্বাস দেয়া হলেও পরে পাত্তাই দেয়া হয়নি। একপর্যায়ে হতাশ হয়ে ফিরে আসতে হয়েছে।

পুলিশ কমিশনার ওয়াইএম বেলালুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন পর্যন্ত ময়দান প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। কোনো ধরনের কার্যক্রম চলবে না। নির্বাচনের পর উভয় পক্ষকে নিয়ে বৈঠক হবে। বৈঠকে তারা যদি সমঝোতায় আসেন তবেই ইজতেমার তারিখ ঘোষণা করা হবে।

 

পূর্ববর্তি সংবাদটঙ্গী মাঠের নৃশংস হামলায় হাজারের অধিক আহত: কারও কারও অবস্থা গুরুতর
পরবর্তি সংবাদইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ঘুষগ্রহণের অভিযোগ