হাটহাজারীর বৈঠকে দাওয়াত পাননি মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ ও তার বোর্ডের কেউ

আবরার আবদুল্লাহ ।।

টঙ্গীর ইজতেমার মাঠে সাধারণ তাবলিগি সাথী ও মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকদের উপর সাদপন্থী সন্ত্রাসীদের হামলার প্রেক্ষিতে করণীয় নির্ধারণে আজ চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদরাসায় দেশের প্রতিনিধিত্বশীল আলেম ও তাবলিগি মুরব্বিদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আল্লামা আহমদ শফীর সভাপতিত্বে বৈঠকে অংশগ্রহণ করেছেন বাংলাদেশ কওমি শিক্ষাবোর্ড বেফাকসহ সম্মিলিত কওমি শিক্ষাবোর্ড আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের অংশিদার কওমি ধারার শিক্ষাবোর্ডগুলোর প্রতিনিধিগণ। তবে মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদের নেতৃত্বাধীন বেফাকুল মাদারিসিদ দীনিয়া বাংলাদেশের কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না।

বৈঠকে বেফাকের সিনিয়র সহ-সভাপতি আল্লামা আশরাফ আলী ও মহাসচিব মাওলানা আবদুল কুদ্দুস, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়াহ, গওহরডাঙ্গার প্রধান মুফতি রুহুল আমীন, আযাদ দ্বীনী এদারায়ে তালিম সিলেটের মাওলানা আব্দুল বছির, উত্তরবঙ্গের তানজিমুল মাদারিসিল কওমিয়া্র মাওলানা মাহমুদ হাসান, ইত্তেহাদুল মাদারিসিল কওমিয়্যাহ-এর মাওলানা আবু তাহের নদভি উপস্থিত ছিলেন।

মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদের বোর্ডের কোনো প্রতিনিধি আজকের বৈঠকে উপস্থিত না থাকার কারণ জানতে চাইলে ‘তাদের আমন্ত্রণ করা হয়নি’ বলে জানান বৈঠকে অংশগ্রহণকারী হাইআতুল উলয়াল একাধিক সদস্য।

নাম না প্রকাশের শর্তে তারা বলেন, ‘টঙ্গীর হামলার সঙ্গে মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদের নাম জড়িয়ে যাওয়া এবং নৃশংস হামলার পরও উলামাদের বিপক্ষে এবং সাদপন্থীদের পক্ষে নানান ধরনের বক্তব্য দেয়ায় তার বিরুদ্ধে সাধারণভাবেই আলেম সমাজ ক্ষুব্ধ। সারাদেশের আলেম-উলামা ও মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকদের মনোভবের প্রতি লক্ষ্য রেখেই তাকে এবং তার বোর্ডের প্রতিনিধিদের আজকের বৈঠকে দাওয়াত দেয়া হয়নি।’

সূত্র আরও জানায়, বৈঠকে মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদের ব্যাপারে অনেকেই ক্ষোভও প্রকাশ করেন। তবে তার ও তার বোর্ডের ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি।

আজকের বৈঠকের আমন্ত্রণ পেয়েছেন কিনা প্রশ্ন করলে বেফাকুল মাদারিসিদ দীনিয়া বাংলাদেশের মুফতী মোহাম্মদ আলী বিষয়টিতে অস্পষ্ট উত্তর দেন। তিনি ইসলাম টাইমসকে বলেন, ‘আমার হাতে কোনো চিঠি পৌঁছায়নি। অফিসে এসেছে কিনা বলতে পারবো না। মাদরাসা নিয়ে আমি একটি ব্যস্ত সময় পার করছি। তাই খোঁজও নেইনি।’

আরও পড়ুন : মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদের ওপর কেন ক্ষুব্ধ অনেকেই?

আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে বা তাদেরকে কেউ ফোন করে আমন্ত্রণ না জানালেও বৈঠকে অংশ নিয়েছেন এমন অনেকেই জানতে চেয়েছেন তিনি বা তার বোর্ডের কেউ বৈঠকে যাচ্ছেন কিনা।-বলেন মুফতী মোহাম্মদ আলী।

বোর্ডের সিনিয়র সহ-সভাপতি মুফতি ইয়াহইয়া মাহমুদও দাওয়াত দেওয়া ও না দেওয়ার বিষয়টি জানেন না বলে মন্তব্য করেন।

পড়ুন : দেশজুড়ে মাওলানা ফরীদ ‍উদ্দীন মাসউদকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার দাবি

পূর্ববর্তি সংবাদফখরুলের অনুরোধে সরে দাঁড়ালেন মাওলানা জুনায়েদ আল-হাবীব
পরবর্তি সংবাদবিদেশি সংস্থা নয়, জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসে বিএনপি : মির্জা ফখরুল