ইসলাম টাইমস ডেস্ক : জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, পুলিশ আমার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। প্রয়োজন অনুযায়ী আমাকে তারা নিরাপত্তা দিতে চায়।
বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় ড. কামাল হোসেনের মতিঝিলের চেম্বারে পুলিশ কর্মকর্তারা সাক্ষাৎ করে যাওয়ার পর তিনি এ বলেন। পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) আনোয়ার হোসেন, সহকারী কমিশনার (এসি) শিবলী নোমান এবং মতিঝিল থানার ওসিসহ পুলিশের ১৫ শীর্ষ কর্মকর্তা ডা. কামালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
ড. কামাল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘পুলিশ কর্মকর্তারা আমাকে বলেছেন, তারা আমার নিরাপত্তার ব্যাপারে উদ্বিগ্ন। প্রয়োজন হলে চেম্বারে ও বাসায় তারা ব্যবস্থা নেবে। দরকার হলে গাড়ির সঙ্গেও নিরাপত্তা দেবে। এছাড়া কিছু বলেনি।
ড. কামাল বলেন, সরকারের কার্যকলাপে নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে আশঙ্কা আছে। শেষ পর্যন্ত নির্বাচন ধরে রাখতে হবে। ওরা যেন না বলতে পারে যে সরে গেছে। এটা আমাদের অধিকার। আমরা কেন সরে যাব? শেষ পর্যন্ত যদি অসম্ভব করে দেয়, তখন মানুষ দেখবে।’
পুলিশকে জানোয়ার বলা যে অভিযোগ উঠেছে ড. কামালের বিরুদ্ধে এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ওই অর্থে তো বলিনি। তারা মানুষের মতো ভূমিকা রাখবে, নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবে, আমরা সবাই সেটাই আশা করি।
আগামীকাল নির্বাচনী প্রচারণার শেষদিনে ঢাকায় সমাবেশের অনুমতি পাননি বলেও জানান তিনি।
এদিন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার যাওয়ার কথা থাকলেও তিনি সেখানে যাননি। এ প্রসঙ্গে ড. কামাল বলেন, ডিএমপি কমিশনারের আসার কথা থাকলেও কাজে আটকা পড়ায় এবং যানজটের কারণে আসতে পারেননি বলে দুঃখপ্রকাশ করেছেন।
এদিকে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, ‘নরমাল ডিউটির অংশ হিসেবে আমরা এখানে সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য এসেছি। তার (ড. কামাল) নিরাপত্তা সংক্রান্ত কোনো অবজারভেশন আছে কিনা, তা জানার জন্য। এটি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে।
ড. কামাল কি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ডিসি আনোয়ার বলেন, ‘না উনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এ জাতীয় তিনি কিছু বলেননি।’
নিরাপত্তার ব্যাপারে তা হলে স্বপ্রণোদিত হয়ে এসেছেন কিনা-জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তার জন্য স্বাভাবিক ডিউটির অংশ হিসেবেই আমরা এসেছি।’
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদার বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করে বৈঠক বর্জন করেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। বৈঠক বর্জন করে বিএনপি মহাসচিব ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সিইসির আচরণ ভদ্রজনিত ছিল না। এ জন্য আমরা সভা বয়কট করেছি। তবে আমরা নির্বাচনে ফাঁকা মাঠে গোল দিতে দেব না। এ সময় তিনি সিইসি কেএম নুরুল হুদার পদত্যাগ দাবি করেন।
গতকাল নির্বাচন কমিশনে সিইসি কে এম নুরুল হুদা ও ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেনের মধ্যে অপ্রীতিকর ও উত্তপ্ত তর্কবিতর্ক হয়। সেটা পুলিশের ভূমিকাকে কেন্দ্র করেই হয়েছে বলে খবরে প্রকাশ।
