ইসলাম টাইমস ডেস্ক : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শুরুর আগে রাতেই ব্যালট পেপারে নৌকার সিল মেরে বাক্স ভর্তি করা হয়েছে। এ অভিযোগ এনে ভোট বাতিল করে পুনঃভোটগ্রহণের দাবি জানিয়েছেন ধানের শীষ প্রার্থীরা।
ফেনী-২ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক জয়নাল আবদীন ভিপি অভিযোগ করেন, সদর আসনের ১২৬টি কেন্দ্রের কোথাও ধানের শীষের এজেন্টকে কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হয়নি।
দুপুরে শহরের ফলেশ্বরস্থ নিজবাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, অনেক এজেন্ট থেকে রাতেই ফরম ছিনিয়ে নিয়েছে নৌকার কর্মীরা। রাতে বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা জোর করে ঢুকে প্রিজাইডিং অফিসার থেকে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে নৌকার সিল মেরে বাক্স ভর্তি করে রেখে দেয়। কোনো কোনো কেন্দ্রে সকালে ভোটাররা গেলেও তাদের ব্যালট পেপার দেয়া হয়নি। ভোটাররা কেন্দ্রে না যেতে রাতভর বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির মতো গুলি ও বোমা বর্ষণ করে আতংক সৃষ্টি করা হয়। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের হুমকি-ধমকি দেয়া হয়। তিনি ‘তামাশা’র এ নির্বাচন বাতিলের দাবী জানান।
ফেনী-১ আসনের ধানের শীষ প্রার্থী রফিকুল আলম মজনু জেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। তাৎক্ষণিক জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, তার নির্বাচনী এলাকার ১৬০টি কেন্দ্রের অধিকাংশই রাতেই ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে নৌকায় সিল মেরে বাক্স ভর্তি করা হয়। সকালে তার এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হয়নি। কয়েকটি কেন্দ্রে এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেয়া হয়।
ফেনী-৩ আসনের ধানের শীষ প্রার্থী মো: আকবর হোসেনের অভিযোগ, রাতে সোনাগাজী ও দাগনভূঞা উপজেলার বেশ কিছু বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়ি-ঘরে হামলা করেছে সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা। সশ্রস্ত্র ক্যাডাররা বাড়ি-বাড়ি গিয়ে কেন্দ্রে না যেতে ভোটারদের হুমকি-ধমকি দেয়। তিনি অভিযোগ করেন, ভোট শুরুর আগেই বিভিন্ন কেন্দ্রে ব্যালট পেপার শেষ হয়েছে। রাতেই লাঙ্গল প্রতীকে সিল মেরে বাক্স ভর্তি করে রাখা হয়। তিনিও ভোট বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।
অপরদিকে ফেনী-২ আসনের আওয়ামীলীগ প্রার্থী ও জেলা আওয়ামীর লীগ সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটাররা কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিচ্ছে। পরাজয় নিশ্চিত জেনে ধানের শীষ প্রার্থীরা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এসব অভিযোগ করেছেন।
