ঋতুমতী নারীর প্রতি হিন্দুধর্মের এই রক্তচক্ষু হাস্যকর

ইসলাম টাইমস ডেস্ক : ঋতুমতী নারীদের বিষয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন ধর্মে অনেক বাড়াবাড়ি ও শৈথিল্য লক্ষ্য করা যায়। একমাত্র ইসলামই সর্বপ্রথম ঋতুমতী নারীকে দিয়েছে তার প্রকৃত মর্যাদা ও অধিকার। জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নত যুগে এসেও এখনও অনেক জায়গায় দেখা যায় ঋতুমতী নারীর প্রতি বিরূপ আচরণ। কেরালায় উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোর আন্দোলন সেই ধারাবাহিকতারই একটি অংশ। ঋতুমতী নারীর প্রতি হিন্দুধর্মের এই অবিচার নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে কোলকাতার প্রভাবশালী দৈনিক আনন্দবাজারে। তাতে বলা হয়েছে-

শবরীমালা আন্দোলন একটি পথ মাত্র, যা প্রাচীন কাল থেকে চলে আসা এক কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লড়াই করে কিছুটা অধিকার ছিনিয়ে নিচ্ছে। ঋতুমতী নারীই তো সন্তানের ধারক ও বাহক। তাই ধর্মের এই রক্তচক্ষু নিতান্তই হাস্যকর।

মনুসংহিতা’তে বলা হয়েছে, ‘‘যে দিন প্রথম রজঃদর্শন হবে সে দিন থেকে তিন রাত্রি পর্যন্ত রমণী সবকিছু পরিত্যাগ করে ঘরের মধ্যে সর্বদা আবদ্ধ থাকবে। যাতে অন্য কেউ তাকে না দেখতে পায়। স্নান করবে না, অলংকার পরবে না। এক বস্ত্র পরিধান করবে। দীনাভাবে মুখ নিচু করে বসে থাকবে। কারও সঙ্গে কোনও কথা বলবে না। নিজের হাত, পা ও চোখ থাকবে স্থির। দিনের শেষে মাটির হাড়িতে তৈরি করা ভাত সে খাবে এবং ভূমিতে সাধারণ ভাবে শয্যা করে নিদ্রা যাবে।’’

এ ছাড়া ‘মনুসংহিতা’য় আছে— ‘‘রজস্বলা নারীতে যে পুরুষ সঙ্গত হয় তার বুদ্ধি, তেজ, বল, আয়ু ও চক্ষু ক্ষয় পায়। নারী হল নরকের দ্বার।

কিন্তু আসল কথা হল, এই নারী রজঃস্বলা হলেই সৃষ্টি রক্ষা পায়। ঋতুমতী নারীই তো সন্তানের ধারক ও বাহক। তাই ধর্মের এই রক্তচক্ষু নিতান্তই হাস্যকর।

শবরীমালা আন্দোলন এর বিরুদ্ধে একটি পথ মাত্র, যা প্রাচীন কাল থেকে চলে আসা এক কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লড়াই করে কিছুটা অধিকার ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা।

তবে শুধুমাত্র লড়াই করে অর্ধেক আকাশের অধিকার নেওয়ায় প্রকৃত নারী উন্নয়ন সম্ভব নয়। চাই অখণ্ড ভুবন, যেখানে নারী বা পুরুষ এই পরিচয়ের চেয়ে বড় হবে মানব পরিচয়।

পূর্ববর্তি সংবাদমন্দিরে ঋতুমতী নারীর প্রবেশ নিয়ে উত্তাল কেরালা
পরবর্তি সংবাদজমিজমা নিয়ে কলহ : নড়াইলে শতবর্ষী নারীকে কুপিয়ে হত্যা