ছিয়াশি সালের নির্বাচনে কে কয়টা সিট পাবে সব ঠিক ছিলো : রাশেদ খান মেনন

ইসলাম টাইমস ডেস্ক : বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলের গায়েই নির্বাচনের কলঙ্ক আছে বলে মন্তব্য করেছেন বাম রাজনীতিক ও সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।

তিনি বলেছেন, আজ যারা গণতন্ত্রের কথা বলছে, তারাও সুযোগ পেলে একই কাজ করতো। সেই ’৮৬ সালে বামরা, আমাদের কমিউনিস্ট পার্টিগুলো শেখ হাসিনার সঙ্গে মিলে নির্বাচন করে নাই? সেই নির্বাচনে কী হয়েছিল, তা সবার জানা আছে। এরশাদের সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে কে কয়টা সিট পাবে, সবই তো ঠিক ছিল সেই সময়। নির্বাচনের কলঙ্ক যদি লেগে থাকে, তাহলে সব রাজনৈতিক দল বা সবার গায়ে কলঙ্ক লেগেছে।

আজ অললাইন গণমাধ্যম বাংলা ট্রিবিউনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেন তিনি।

আওয়ামী লীগের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, কেউ কেউ বলছেন, আমরা আওয়ামী লীগে বিলীন হয়ে যাচ্ছি। আমরা মোটেও বিলীন হচ্ছি না, বরং আমাদের শক্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী জুলাইয়ে ওয়ার্কার্স পার্টির কংগ্রেস হবে, তখন আপনারা দেখবেন কত অঞ্চলে আমাদের সংগঠনের বিস্তৃতি ঘটেছে! এবারও আমরা আলাদাভাবে উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো। যদিও আমরা জানি, এই নির্বাচনে কী হবে! তারপরও আমরা নির্বাচন করবো।

রাশেধ খান মেনন ১৪ দলীয় জোটে যথাযথ মূল্যায়ন না পাওয়ার অভিযোগ করে বলেন, প্রথম থেকে দুর্ভাগ্যজনকভাবে আওয়ামী লীগ সঠিকভাবে জোট চর্চা করেনি বা করতে চায়নি। এই জোট চর্চার অপব্যবহারের কারণে একটি কেন্দ্রীভূত জায়গায় এসেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছেই সমস্ত ক্ষমতা। শুধু আমরা নই, আওয়ামী লীগের লোকজনও জানে না, কেন তাদের মন্ত্রিত্ব নেই? আমরা তো জানি না, কেন আমাদের মন্ত্রিত্ব নেই? এটা হচ্ছে তৃতীয় বিশ্বের দেশে রাজনীতির পরিণতি, যেখানে ক্ষমতা ক্রমান্বয়ে কেন্দ্রীভূত হচ্ছে। সেই জায়গা থেকে প্রধানমন্ত্রী মনে করেছেন, আমাদের মন্ত্রিসভায় রাখার প্রয়োজন নেই। তাই রাখেননি।

১৪ দলীয় জোট কি বিরোধী দলে যাবে কী না এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রবীণ এই বাম নেতা বলেন, শুনুন, আমি নির্বাচন ও বক্তব্য দিয়েছি উন্নয়নের পক্ষে। আমি বক্তৃতা করেছি আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার পক্ষে। তাহলে এখন কীভাবে পাল্টা বক্তব্য দেবো? আমি তো জাতীয় পার্টি না! আমাকে যদি এরশাদের সঙ্গে তুলনা করেন, তাহলে ভুল করবেন। সকালে এক কথা বললো, বিকালে আরেক কথা বললো। আমি ভোটের আগে উন্নয়নের কথা বললাম, এখন এর বিরুদ্ধে বক্তব্য দিলে তার কোনও বিশ্বাসযোগ্যতা থাকবে?

তবে সব মান-অভিমানের পরও যে তিনি মন্ত্রিত্বের আশা ছাড়েননি তা বোঝা গেলো তার উত্তর থেকে। মন্ত্রিসভায় ডাকা হলে যাবেন কী না জানতে চাইলে তিনি বলেন, একসময় আমাকে মন্ত্রিত্বের জন্য ডাকা হয়েছিল, আমি যাইনি। আবার সময়ের প্রয়োজনে মন্ত্রীও হয়েছি। এখন ভবিষ্যতে কী হবে, সেটা পার্টির নেতারা বসে সিদ্ধান্ত নেবেন।

পূর্ববর্তি সংবাদসৌদি আরবে বন্যায় নিহত ১২
পরবর্তি সংবাদপ্রহসনের নির্বাচনের পর জনগণ দেশের ভবিষ্যত নিয়ে আতঙ্কিত : ইসলামী আন্দোলন