ভেনেজুয়েলা থেকে বাকি কূটনীতিকদেরও প্রত্যাহারের ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

ইসলাম টাইমস ডেস্ক: এবার ভেনেজুয়েলা থেকে বাকি কূটনীতিকদেরও প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার রাতে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ভেনেজুয়েলার রাজনৈতিক পরিস্থিতির অবনতির কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

অপরিহার্য নয় এমন কূটনীতিকদের কারাকাস থেকে দেড় মাস আগে ফিরিয়ে নিয়েছিল ওয়াশিংটন।

এদিকে, টানা পঞ্চম দিনের মতো বিদ্যুৎবিভ্রাট চলাকালে গত সোমবার ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেতা হুয়ান গুয়াইদো নতুন করে গণবিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন। তাঁর অনুরোধে জরুরি অবস্থা জারি করেছে পার্লামেন্ট।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও গত সোমবার রাতে বলেন, ভেনেজুয়েলার রাজধানী কারাকাসের দূতাবাসে নিয়োজিত থাকা বাকি কূটনীতিকদের যুক্তরাষ্ট্র ফিরিয়ে নেবে।

নির্বাচনি কারচুপির অভিযোগ আর অর্থনৈতিক সংকট ভেনেজুয়েলার জনগণকে তাড়িত করেছে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে। বিক্ষোভের সুযোগে গত ২৩ জানুয়ারি বিরোধীদলীয় নেতা হুয়ান গুইদো নিজেকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন । এরপরই তাকে স্বীকৃতি দেয় যুক্তরাষ্ট্রসহ ৫০টিরও বেশি দেশ।

এরপর দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি শোডাউনের মধ্যেই গত ৮ মার্চ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে ভেনেজুয়েলার অর্ধেকেরও বেশি এলাকা। দেশটির ২৩টির মধ্যে ১৮টি রাজ্যেই অন্ধকারে কাটাতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, সরকারবিরোধীরা এই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে।

এর আগে ২৪ জানুয়ারি ভেনেজুয়েলায় নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাস থেকে বেশিরভাগ কূটনীতিককে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত কথা জানিয়েছিলো যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ‘ভেনেজুয়েলায় পরিস্থিতির অবনতির কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তারা জানান, দূতাবাসে মার্কিন কূটনীতিকরা আর মার্কিন নীতির কারণে থাকতে পারছেন না।’ তবে কবে এবং কখন তারা দেশে ফিরে যাবেন সে ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানায়নি ওয়াশিংটন।

দেশজুড়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে সবচেয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে পানি-সংকট। বিদ্যুৎবিহীন অন্ধকারে বাড়ছে লুটপাটের মতো ঘটনা। বন্ধ হয়ে গেছে সুপার মার্কেটগুলো। সংবাদমাধ্যমগুলোর কাছে নিজেদের হতাশার কথা জানিয়েছেন দেশটির নাগরিকরা।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সোমবার দেশজুড়ে স্কুল ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত ভেনেজুয়েলার স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট হুয়ান গুইদো’র দাবি, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে এ পর্যন্ত অন্তত ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে দায়ী করেছেন গুইদো।

পূর্ববর্তি সংবাদভুলে সন্তান রেখে এসেছেন এয়ারপোর্টে, তাই মাঝপথ থেকে ফিরে এল সৌদি বিমান
পরবর্তি সংবাদব্রিটিশ সাংসদরা আবারও প্রত্যাখ্যান করলেন ব্রেক্সিট চুক্তি