বি-বাড়িয়ায় ‘খুনি’ দম্পতির মৃত্যুদণ্ড

ইসলাম টাইমস ডেস্ক: বি-বাড়িয়ায় স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছে জেলা ও দায়রা জজ আদালত। আবদুল শুক্কুর হত্যা মামলায় এ মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আরেকজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

আজ বুধবার বি-বাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (প্রথম আদালত) সাবেরা সুলতানা খানম এই রায় দেন।

আবদুল শুক্কুর নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার হালদ গ্রামের আবদুল জব্বারের ছেলে। অপরদিকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের আফজাল (৪৩) ও তার স্ত্রী হেলেনা বেগম (৩৫)। এই মামলায় আফজালের বাবা আমিরুদ্দিনকে (৬৪) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আফজাল ও তার বাবা আমিরুদ্দিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

হেলেনা উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে পলাতক আছেন। এ ছাড়া মামলার অপর আসামিকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।

মামলার এজাহার ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের ৮ ডিসেম্বর সকালে বাঞ্ছারামপুরের কানাইনগর গ্রামে মেঘনা নদীর পাড় থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির (৩৫) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই এলাকার চৌকিদার শাহ আলম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। পরে লাশটি শুক্কুরের বলে শনাক্ত হয়।

আদালত সূত্রে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের আবদুল শুক্কুর ওরফে ফালান মিয়া একই এলাকার আমিরুদ্দিনের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকায় জমি কেনেন। কিন্তু নিবন্ধন করে দিতে টালবাহানা শুরু করেন আমিরুদ্দিন। পরে তিনি ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর জমি নিবন্ধন করে দিতে রাজি হন। জমি নিবন্ধন করার দুদিন আগে ৭ ডিসেম্বর শুক্কুরকে ছেলে আফজালের শ্বশুরবাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের মরিচাকান্দিতে যাওয়ার দাওয়াত দেন আমিরুদ্দিন। ওই দিন তিনি সেখানে যান। পরে তাকে হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দেওয়া হয়।

পূর্ববর্তি সংবাদ‘ট্রাম্পের ডিল অব দ্য সেঞ্চুরি’ আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন: ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্যদের মন্তব্য
পরবর্তি সংবাদজঙ্গিবাদ সৃষ্টি করে বিশ্বের কাছে ইসলাম ধর্মকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে : সংসদে প্রধানমন্ত্রী