করোনায় ত্রাণ: প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাসিন্দারা কতটা নজরে আছেন?

নুরুদ্দীন তাসলিম।।

করোনাভাইরাসে জীবিকা সংকীর্ণ হয়ে আসা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন দেশের আলেম সমাজ। এতে রাজধানীর নিম্নবিত্ত শ্রেণীর মুখে হাসি ফুটলেও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষেরা যেন অনেকটা দৃষ্টির বাইরেই রয়ে গেছেন। তাদের ক্ষুধা-কান্না মিডিয়ার ক্যামেরায় একেবারে আসে না এমন নয়। কিন্তু তা অপ্রতুল বললে ভুল হবে না।

কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট, শেরপুর, নেত্রকোণাসহ  প্রত্যন্ত অঞ্চলের খেটে খাওয়া অনেকের মুখে শোনা গেছে, ‘করোনা সংক্রমণ নয়, আমরা ক্ষুধায় মারা যাবো’ এমন কথা। শুধু খেটে খাওয়া মানুষ নয়, করোনা পরিস্থিতির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় একমাত্র বেতনের উপর নির্ভর করে সংসার চালানো অনেক মাদরাসা ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা পড়েছেন বিপাকে।

দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের এমানুষদের নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে কাজ হচ্ছে না এমন নয়। তবে তা বেশ অপ্রতুল। প্রয়োজন পূরণে যথেষ্ট নয়।

এদিকে প্রত্যন্ত অঞ্চলের  এমানুষদের সরলতা আর অভাবের সুযোগ নিয়ে খৃষ্টান মিশনারীগুলোর অপতৎপরতার বিষয়টি বাংলাদেশে অজানা নয় কারো। তাই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে কিভাবে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে জানতে চাইলে দেশের এসব অঞ্চল নিয়ে বিশেষভাবে কাজ করে যাওয়া সংগঠন হাফেজ্জী হুজুর সেবা সংস্থার পরিচালক মাওলানা রজিবুল হক বলেন, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলো স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর নজরের বাইরে ব্যাপারটা এমন নয়। বর্তমান লকডাউন পরিস্থিতির কারণে অনেকেই সেসব অঞ্চলে সহায়তা পৌঁছাতে পারছেন না বলছেন তিনি।

আরো পড়ুন: করোনায় অবহেলিত অঞ্চল: মিশনারি ও কাদিয়ানির ফাঁদ থেকে রক্ষায় যা করতে পারেন দায়ীরা

এপরিস্থিতিতে এঅঞ্চলগুলোতে সহায়তা চালু রাখার পদ্ধতী কি হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সংগঠনগুলো ব্যক্তিগত বিশ্বস্ত প্রতিনিধির মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম চালু রাখতে পারেন।

এদিকে পিপলম ইমপ্রুভমেন্ট সোসাইটি অফ বাংলাদেশের দায়িত্বশীল মাওলানা ইমরান হুসাইন হাবিবি বলছেন,দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলো বিশেষত উত্তরবঙ্গের সরল মানুষগুলো অনেক বেশি অভাবি। এসব অঞ্চলে বিত্তশালী থাকলেও নিম্নবিত্তের সংখ্যা অনেক।

তিনি বলছেন, বর্তমান সংকট প্রায় ৯০ ভাগ মানুষকে সামনের দিনগুলোর ব্যাপারে ভাবিয়ে তুলছে। এমন সময় অনেক মানুষ এখনো সহায়তার বাইরে রয়ে গেছেন। এক্ষেত্রে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সমন্বয় বা আরেকটু অগ্রগামী ভূমিকা এ অঞ্চলের মানুষগুলোর মুখের বিষাদ কিছুটা দূর  করতে পারে, বলছিলেন ইমরান হুসাইন  হাবিবি।

আরো পড়ুন: করোনা সংকটে প্রচার বিমুখ আলেম সমাজের নগদ অর্থ প্রদান কার্যক্রম

পূর্ববর্তি সংবাদপ্রধানমন্ত্রীকে আ. লীগের অভিনন্দন
পরবর্তি সংবাদবাগেরহাটে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাক্টর খাদে পড়ে নিহত ১