বৈধ কর্তৃপক্ষের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর ও হামলার বিচার দাবি মঈনুল ইসলাম মাদরাসা কমিটির

ইসলাম টাইমস ডেস্ক: রাজধানীর আল-মাদরাসাতু মুঈনুল ইসলাম’ কওমি মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকদের উপর হামলার ঘটনার সুষ্ঠু বিচার, স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের পক্ষপাতের অভিযোগ এবং বৈধ কর্তৃপক্ষে হাতে মাদরাসার দায়িত্ব হস্তান্তরের দাবি জানিয়ে সাংবাদ সম্মেলন করেছেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা কমিটি ও শিক্ষকবৃন্দ।

আজ (১২ আগস্ট) বুধবার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে ভিআইপি লাউঞ্জে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে আল-মাদরাসাতু মুঈনুল ইসলামের  পরিচালনা কমিটি ও শিক্ষকবৃন্দ ৪টি দাবি উল্লেখ করেন। দাবি ৪টি হল,

(১) ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মাদরাসার মসজিদকে আজান ও নামাজের জন্য খুলে দিতে হবে।

(২) অনতিবিলম্বে সাদপন্থী হামলাকারীদের গ্রেফতার ও আইনের আওতায় আনতে হবে।

(৩) মাদ্রাসা মুঈনুল ইসলামের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে জড়িত প্রকৃত বৈধ কর্তৃপক্ষের কাছে মাদ্রাসার দায়িত্ব হস্তান্তর করা। এবং

(৪) অনতিবিলম্বে ওসি ভাটারাকে প্রত্যাহার করা

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত পাঠ করেন মাওলানা শাহরিয়ার মাহমূদ। বক্তব্যে তিনি বলেন, চারজন প্রতিষ্ঠাতার সমন্বয়ে আল-মাদরাসাতু মুঈনুল ইসলাম ১৯৯৭ শিক্ষাকার্যক্রম শুরু করে। মসজিদ- মাদ্রাসাটি তাবলীগ জামাআতের কাকরাইল ও দিল্লীর মুরুব্বী ওলামাদের পরামর্শে পরিচালিত হওয়ার শর্ত করা হয় তখন।

তবে ২০১৮ সালে মাদ্রাসারপ্রাক্তন প্রিন্সিপাল মুফতী আতাউর রহমান শিক্ষক-ছাত্রদের নীতি-আদর্শ ও ইচ্ছার বিপরীতে সাদ গ্রুপের পক্ষে অবস্থান নেন। সাদ গ্রুপের বিভ্রান্তি বোঝাতে ব্যর্থ হয়ে মাদ্রাসার ৬০০ ছাত্রের মধ্যে প্রায় পাঁচ শতাধিক ছাত্র মাদ্রাসা ছেড়ে অন্য মাদ্রাসায় চলে যায়।

মাওলানা শাহরিয়ার আরো বলেন, গত ১১ মে মুফতী আতাউর রহমান ইন্তেকাল করেন। আস্তে আস্তে সকল শিক্ষক ও ছাত্রগণ মাদ্রাসায় ফিরে আসতে শুরু করেন। জমিদাতা জনাব আফতাব উদ্দিন ঢালীর সভাপতিত্বে গত ২৭ মে এক সাধারণ সভায় মাদ্রাসার নতুন শূরা কমিটি গঠন করা হয়। শূরা কমিটিতে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠাতাদের জীবিত সকলেই এবং বেফাকের মুরুব্বীগণও অন্তর্ভুক্ত হন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, মাদ্রাসাটি যখন আবার তার হৃত ভাবমূর্তি ফিরে পাওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলো, তখনই মাদরাসার প্রাক্তন প্রিন্সিপাল আতাউর রহমানের শশুর আব্দুর রাজ্জাক ও তার কয়েকজন সাদপন্থী সহযোগীদের ষড়যন্ত্র ও আক্রমণের শিকার হয়।

সংবাদ সম্মেলনে মাদ্রাসা পরিচালনার সাথে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- কাকরাইলের মুরুব্বি ও ভিক্টোরিয়া পার্ক জামে মসজিদের খতিব মুফতি আমানুল হক, ইত্তেফাকুল মুসলিমীন বাংলাদেশের মহাসচিব ও ঢাকার গাউছিয়া জামে মসজিদের খতিব মুফতি আব্দুল্লাহ ইয়াহইয়া, আল-মাদরাসাতু মুঈনুল ইসলামের মুহতামিম মাওলানা আতাউল্লাহ, শিক্ষা সচিব মুফতি সলিম উল্লাহ ও প্রতিষ্ঠানটির সাবেক পরিচালক মুফতি আতাউর রহমান (রাহ.)এর ভাই মুফতি মামুন, হাবিবুল্লাহ রায়হান, মুফতি যোবায়ের গণী, মুফতি আবদুল গাফফার, মুফতি আব্দুল্লাহ ইদরীস প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শূরা কমিটির সভাপতি মাওলানা শাহরিয়ার মাহমুদ।

পূর্ববর্তি সংবাদসাহায্য নিয়ে যাওয়া বিমানেই লেবানন থেকে ফিরলেন ৭১ বাংলাদেশি
পরবর্তি সংবাদচার বছর আগেই বিস্ফোরকের ব্যাপারে লেবাননকে সতর্ক করেছিলেন এক মার্কিন ঠিকাদার