রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে জোর দিয়ে মানবাধিকার কাউন্সিলে রেজুলেশন পাস

ইসলাম টাইমস ডেস্ক: রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, টেকসই ও সম্মানজনক প্রত্যাবাসনে জোর দিয়ে জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে মিয়ানমারের সমস্যার উপর একটি রেজুলেশন গৃহীত হয়েছে। রেজুলেশনটি সর্বসম্মতিতে গৃহীত হলেও চীন, রাশিয়া, ভেনেজুয়েলা, বলিভিয়া ও ফিলিপিন্স এর সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়নি। শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জেনেভার বাংলাদেশ দূতাবাসসূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

মিয়ানমারে ১ ফেব্রুয়ারি ক্ষমতার পালাবদলের পরে যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন যৌথভাবে মানবাধিকার কাউন্সিলে একটি বিশেষ অধিবেশনের জন্য অনুরোধ করলে ওই দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে সারাদিন ধরে আলোচনা হয়। প্রথম অধিবেশনে বাংলাদেশসহ প্রায় ৭০টি দেশ বক্তব্য রাখে।

জেনেভাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মোস্তাফিজুর রহমান রোহিঙ্গা পরিস্থিতির জন্য বাংলাদেশের উদ্বেগ প্রকাশের পাশাপাশি রাখাইন কমিশন রিপোর্টের পূর্ণ বাস্তবায়নের ওপর জোর দেন। এছাড়া মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সমুন্নত রাখার বিষয়ে বাংলাদেশ বক্তব্য রাখে।

মিয়ানমার প্রতিনিধি তার বক্তব্যে এই রেজুলেশন প্রত্যাখ্যান করে বলেন, ‘শুধুমাত্র একটি দেশকে কেন্দ্র করে একটি রেজুলেশন গ্রহণযোগ্য নয়।’

চীন, রাশিয়া, বলিভিয়া, ফিলিপাইন ও ভেনেজুয়েলা ক্ষমতার পালাবদল মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয় উল্লেখ করে এই রেজুলেশনে সম্পৃক্ত হতে অস্বীকার করে। অন্যদিকে মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ভারত।

এ বিষয়ে  রাষ্ট্রদূত মোস্তাফিজ বলেন, ‘আমরা আমাদের বক্তব্যে গণতন্ত্র ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়া সমুন্নত রাখার কথা বলেছি, রোহিঙ্গাসহ সব সংখ্যালঘুদের সম্মানজনক প্রত্যাবাসনের কথা বলেছি এবং কফি আনান কমিশন রিপোর্টের পূর্ণ বাস্তবায়নের কথা বলেছি।’

এখানে উল্লেখ্য, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে সম্প্রতি গৃহীত বিবৃতিতে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি ব্যবহার করা না হলেও মানবাধিকার কাউন্সিলের রেজুলেশনে রোহিঙ্গা শব্দটি উল্লেখ করা হয়েছে। এ মাসের প্রথমে সামরিক বাহিনী মিয়ানমার নেত্রী অং সান সুচীসহ অন্য রাজনৈতিক নেতাদের অন্তরীণ করে এবং জরুরি আইন জারি করে। এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বিভিন্ন দেশ বিবৃতি প্রদান করে গণতান্ত্রিক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানিয়েছে।

ইজে

পূর্ববর্তি সংবাদমাওলানা জসিমকে ছুরিকাঘাত করা যুবক গ্রেফতার
পরবর্তি সংবাদকিশোর গ্যাং: মান্ডায় গ্রুপের দ্বন্দ্বের জেরে কিশোরকে হত্যা