ইসলাম টাইমস ডেস্ক ।। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা জানাতে এবং কওমি সনদের শুকরিয়া মাহফিলের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জমায়েত হয়েছেন কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও আলেমরা। রবিবার (৪ অক্টোবর) সকাল ৭টা থেকেই রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ করছেন তারা।
আল-হাইয়াতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের আয়োজিত এই শোকরানা মাহফিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কওমি সনদের স্বীকৃতি দেওয়ায় সংবর্ধনা দেওয়া হবে। অবশ্য তারা এ অনুষ্ঠানকে বলছেন- শুকরানা মাহফিল। এতে সারা দেশের ১০ লক্ষাধিক আলেমের সমাগম হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন আল্লামা শাহ আহমদ শফী।
এ উপলক্ষে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মঞ্চ ও প্যান্ডেল তৈরির কাজ শেষ।
উদ্যানে নিয়মিত প্রাতঃভ্রমণকারীরা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী আগেও অনেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সোহরাওযার্দী উদ্যানে এসেছেন। কিন্তু এবারের আয়োজন একটু ব্যতিক্রম। বিশাল এলাকাজুড়ে প্যান্ডেল, বসার জন্য চেয়ার, বিভিন্ন স্থানে পর্য়াপ্তসংখ্যক টয়লেট ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা রয়েছে। ভোর থেকেই সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেছেন আলেমরা।
রাজধানীতে এ বড় সমাবেশকে সামনে রেখে এরই মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বাড়তি ব্যবস্থা নিয়েছে। আজকের পূর্বনির্ধারিত জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
আল-হাইয়াতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফীকেও এই মাহফিলে সংবর্ধনা জানানো হবে। এই শোকরানা মাহফিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সম্মাননা জানিয়ে ক্রেস্ট দেওয়া হবে। একই সঙ্গে দেওয়া হবে আহমদ শফীকেও।
মাহফিলে বেশি কিছু দাবিও তুলে ধরা হবে। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, কাদিয়ানিদের সরকারিভাবে অমুসলিম ঘোষণা, ইসলামবিরোধী শক্তিকে প্রতিহত করা এবং আলেম, ইমাম ও ছাত্র-শিক্ষকদের বিরুদ্ধে হয়রানির মামলা প্রত্যাহার করা। বিশেষ করে হেফাজতের ৫ মে শাপলা চত্বরে সমাবেশকে কেন্দ্র করে হওয়া মামলাগুলো প্রত্যাহারের বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন হাইআতুল উলয়ার একাধিক নেতা।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিসের (তাকমীল) সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি) সমমান প্রদান আইন, ২০১৮ পাস হয়।
